রবিবার , ৩১ অক্টোবর ২০২১ | ১৩ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

গোয়েন্দা কর্মকর্তার মেয়েকে টোপ দিয়েছিল সৌদি রাজপ্রাসাদ

Paris
অক্টোবর ৩১, ২০২১ ৯:২৭ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক:

সৌদি আরবের সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তা ড. সাদ আল জাবরির মেয়ে অভিযোগ করেছেন, তুরস্কের যে দূতাবাসে সাংবাদিক জামাল খাসোগীকে হত্যা করা হয়েছিল, একই দূতাবাসে যেতে তাকে টোপ দেওয়া হয়েছিল।

সিএনএন এর সাংবাদিক ক্রিস্টিন আমানপোরের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে সৌদির সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তা আল জাবরির কন্যা হিসসাস আল মুজাইনি এই অভিযোগ করেন।

সাবেক গোয়োন্দা কর্মাকর্তা ড. সাদ আল-জাবরি বহু বছর ধরে প্রিন্স সালমানের চাচা মোহাম্মদ বিন নায়েফের ডান হাত ছিলেন। আর প্রিন্স মোহাম্মদ বিন নায়েফ ছিলেন সৌদি আরবের দ্বিতীয় ক্ষমতাধর ব্যক্তি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বে পাশাপাশি তিনি ছিলেন ‘ক্রাউন প্রিন্স’, অর্থাৎ বাদশাহ সালমানের পর তারই পরবর্তী বাদশাহ হওয়ার কথা।

কিন্তু হঠাৎ করেই তাকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তার জায়গায় ‘ক্রাউন প্রিন্স’ করা হয় বাদশাহ সালমানের ছেলে মোহাম্মদ বিন সালমানকে।

সৌদি আরবে সব ক্ষমতা নিজের হাতে নেবার পর যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান দেশটির ক্ষমতা কাঠামোয় যে শুদ্ধি অভিযান চালান – তার ঠিক আগে আগে দেশ ছেড়ে পালিয়েছিলেন ড. সাদ আল-জাবরি।

এমবিএস দায়িত্ব নিয়ে তার দেশের সশস্ত্রবাহিনীকে ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধে হস্তক্ষেপ করার আদেশ দেন। ড. আল জাবরি এর বিরোধিতা করে বলে বলেছিলেন, যুদ্ধে জড়ালে তা থেকে বেরিয়ে আসবার কোনো পথ থাকবে না। প্রায় ছয় বছর ধরে সৌদি আরব এখনো ইয়েমেনের যুদ্ধ থেকে বেরিয়ে আসবার পথ খুঁজছে।

ডা. সাদ আল জাবরির কন্যা মুজাইনি বলে, সৌদি রাজপ্রাসাদ তাকে ইস্তাম্বুলের দূতাবাসে যেতে প্রলোভন দেখিয়েছিল। কিন্তু তিনি ভাগ্যবান যে সেখানে যাননি। এই দূতাবাসেই সৌদি সরকারের সমালোচক খাসোগজিকে ২০১৮ সালে হত্যা করা হয়।

কানাডা সৌদি আরবের সাবেক শীর্ষ গোয়েন্দা কর্মকর্তা সাদ আল জাবরিকে আশ্রয় দিয়েছে। তাকে দেশে ফিরতে বাধ্য করতে তার দুই সন্তান, কন্যা মুজাইনির স্বামী ও এক ভাইকে আটক করেছে সৌদি আরব।

সাদ আল জাবরি গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালতে এমবিএস বা মোহাম্মাদ বিন সালমানের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। যেখানে বলা হয় তার এবং তার পরিবারের ওপর এমবিএস টর্চার করে যাচ্ছেন। এই মামলায় আরও বলা হয়, টাইগার স্কোয়াড নামে একটি রাষ্ট্রীয় অ্যাসাসিনেশন গ্রুপ তাকে কানাডায় হত্যাচেষ্টা চালায়।

সূত্র:যুগান্তর

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক