সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
সিরিয়ার ইদলিব প্রদেশের একটি গ্রামে ‘রাশিয়ার’ বিমান হামলায় অন্তত ১৪ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। রবিবারের এ বিমান হামলায় নিহতদের এক শিশুও রয়েছে। সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
মানবাধিকার সংস্থাটি জানায়, কাফর নাবাল নামের এ গ্রামের কয়েকটি অংশে বিমান হামলায় ১৪ জন নিহত হয়েছে। হামলায় আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। আহত কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে।
সংস্থাটি আরও জানায়, একটি রাশিয়ান বিমান এই হামলা চালায় বলে ধারণা করা হচ্ছে।
রাশিয়া ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সমর্থনে সিরিয়ায় বিমান হামলার মাধ্যমে সামরিক হস্তক্ষেপ শুরু করে। রাশিয়া সেখানে সিরিয়ার বিদ্রোহী ও ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর ওপর বিমান হামলা চালিয়ে সরকারি বাহিনীকে সহযোগিতা করছে। সিরিয়ায় অভিযান শুরুর পর বেশ কয়েকবার রাশিয়ার বিরুদ্ধে বেসামরিক নাগরিকের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে। যদিও রাশিয়া তাদের হামলায় বেসামরিক নাগরিক হতাহতের বিষয়টি অস্বীকার করে আসছে।
এদিকে, সিরিয়ার আলেপ্পো শহরের বিদ্রোহী-নিয়ন্ত্রিত পূর্বাংশের ৫০ শতাংশের নিয়ন্ত্রণ সরকারি বাহিনীর হাতে চলে এসেছে। দেশটির একজন সামরিক মুখপাত্র এই দাবি করেছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানাচ্ছে, জেনারেল সামির সুলাইমান নামের ওই মুখপাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে পুরো আলেপ্পো সিরীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণে চলে আসার আশা প্রকাশ করেছেন।
এরইমধ্যে সেনাবাহিনী পূর্ব আলেপ্পোর তারিক আল বাব এলাকাটি বিদ্রোহীদের দখল থেকে পুনরুদ্ধার করেছে সরকারী বাহিনী। ঘটনার একদিনের মাথায় বিবিসিকে একথা বলেন জেনারেল সুলাইমান।
উল্লেখ্য, ২০১২ সাল থেকে আলেপ্পোর পূর্বাঞ্চল বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। জাতিসংঘ জানিয়েছে, আলেপ্পোতে প্রায় আড়াই লাখ মানুষ আটকা পড়েছিলেন। সিরিয়ার সরকারি বাহিনী চলতি সপ্তাহে হামলার তীব্রতা বাড়ানোর পর সেখানকার জনগণ প্রাণ নিয়ে আলেপ্পো ছেড়ে আসছে। গত তিন সপ্তাহ ধরে বিদ্রোহী-নিয়ন্ত্রিত পূর্ব আলেপ্পো অবরোধ করে রেখেছে সিরীয় সরকারি বাহিনী ও এর মিত্র বেসামরিক বাহিনীগুলো। দুই দিন আগে আলেপ্পোর বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকার ৪০ শতাংশ আসাদ বাহিনীর দখলে নেওয়ার কথা জানান সিরিয়ায় জাতিসংঘ দূত স্তাফান দি মিস্তুরা।
জাতিসংঘের হিসেব মতে, ২০১১ সাল থেকে শুরু হওয়া সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে এখন পর্যন্ত অন্তত চার লাখ মানুষ নিহত হয়েছেন।
সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন