সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
নাইজেরিয়া, দক্ষিণ সুদান, সোমালিয়া, ইয়েমেন – আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের এই চার দেশে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা দ্রুত বেড়ে চলেছে।
এর জন্য দায়ী এসব দেশে চলমান খরা ও যুদ্ধ। শস্য বিনাশের কারণে অপুষ্টির হার বাড়ছে, বিশেষত শিশুদের মধ্যে। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) এ তথ্য জানিয়েছে।
এই দেশগুলোতে প্রায় ২ কোটি লোক ইতিমধ্যে অনাহারে আছে। ফেব্রুয়ারি মাসে ইউএনএইচসিআর দক্ষিণ সুদানকে দুর্ভিক্ষপীড়িত ঘোষণা করে। কিন্তু এখন আরও ১০ লাখ মানুষ নতুন করে দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে আছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির মুখপাত্র অ্যাড্রিয়ান এডওয়ার্ড্স। মঙ্গলবার ইউএনএইচসিআর জানায়, দুর্ভিক্ষ হওয়ার যে আশঙ্কা, সেই আশঙ্কার মাত্রা বাড়িয়েছে তারা।
এডওয়ার্ড্স বলেন, অবস্থা এখনও সামাল দেওয়া সম্ভব। কিন্তু তা না করা হলে এই মানবিক বিপর্যয় ২০১১ সালের পরিস্থিতিকে ছড়িয়ে যাবে।
২০১১ সালে হর্ন অব আফ্রিকার দুর্ভিক্ষে ২ লাখ ৬০ হাজার লোক মারা যায়, যাদের অর্ধেকই ছিল শিশু।
দুর্ভিক্ষ এড়াতে দুর্ভিক্ষপীড়িত এলাকাগুলোয় নেওয়া কর্মসূচির জন্য তহবিল সংগ্রহে জাতিসংঘে যথেষ্ট বাধার মুখে পড়েছে। কিছু এলাকায় চাহিদার মাত্র ৩ থেকে ১১ শতাংশ তহবিল সংগৃহীত হয়েছে।
জাতিসংঘ মানবিক সহায়তা সমন্বয়কারী সংস্থা থেকে ইয়েন্স লের্কে বলেন, এপ্রিলের মধ্যে জাতিসংঘের লক্ষ্য ছিল ৪৪০ কোটি ডলার সংগ্রহের। কিন্তু এসেছে মাত্র তার ২১ শতাংশ।
সূত্র: রাইজিংবিডি