অবশেষে বিয়ে করতেই হলো শিবগঞ্জের সেই শিক্ষা অফিসারকে

ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি:
সারাদিনের জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে চাঞ্চল্যকর রহিমা খাতুনের সাথে বিয়ের আসরে বসলেন শিবগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবু ইউসুফ আলী ভূঁইঞা।

বৃহস্পতিবার গভীর রাতে শিবগঞ্জ থানা চত্বরে কাজী ও উভয় পক্ষের আত্মীয়-স্বজনের সম্মুখে এ বিবাহ অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় ২ বিঘা ফসলী জমি, ৫ ভরি স্বর্ণলকার, ৩ কাঠা জমিসহ বসত বাড়ি নির্মাণ ও ৫ লক্ষ ৫ হাজার টাকা দেনমোহরে বিবাহ সম্পন্ন হয়।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার ভোরে ইউসুফ আলীর দেওয়ান জাইগীর খাঁনপাড়ার ভাড়া বাসাতে আপত্তিকর অবস্থায় উপজেলার মনাকষা ইউনিয়নের হাউসনগর গ্রামের কিন্ডারগার্টেনের স্কুল শিক্ষিক্ষা ও একই গ্রামের নজরুল ইসলামের মেয়ে মোসা. রহিমা ওরফে পারভিন খাতুনের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় তাদের আটক করে এলাকাবাসী। এর আগে ইউসুফ আলী ভূঁঞা বাড়ির জানালা ভেঙ্গে পালানোর চেষ্টা করেন। পরে তাদের দুজনকেই পুলিশে সোপর্দ করে এলাকাবাসী।

এদিকে ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে দিনব্যাপী পুরো উপজেলার মানুষের মাঝে চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি হয়।

 

কয়েকজন শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, এর আগে বগুড়া আদমদিঘী উপজেলা শিক্ষা অফিসার হিসোবে দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে নারী কেলেঙ্কারী ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শাস্তিমূলকভাবে শিবগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হিসেবে বদলী করে শিক্ষা বিভাগ।

 

মনাকষা ইউনিয়ন হাউস নগর গ্রামের কয়েকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, রহিমা বেগম ওরফে শাহনাজ পারভিনের অন্তত ৪ জনের সাথে বিয়ে হয়েছিল।
স/শ