রাণীনগরে ৪১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন ঝুঁকিপূর্ন

রাণীনগর প্রতিনিধি:

নওগাঁ রাণীনগর উপজেলার ১শ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৪১টি বিদ্যালয়ের ভবনকে ঝুঁকিপূর্ন হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। রাণীনগর উপজেলা শিক্ষা অফিসের তথ্য অনুযায়ী উপজেলা প্রকৌশলী (এজিইডি) অফিস ৪১টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনকে ঝুঁকিপূর্ন হিসাবে চিহ্নিত করেন। ২৫-৩০ বছর আগে নির্মিত এই সব ভবনগুলোর কক্ষের ছাদের বিমে ফাটল, প্লাস্টার ও কংক্রিট খুলে পড়ায় ইতি মধ্যেই ঝুঁকিপূর্ন হয়েছে।

সেখানে আগামীর প্রজন্মরা বিদ্যাগ্রহণ করে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঝুঁকিপূর্ন কক্ষে পাঠগ্রহণ করছে শিক্ষার্থীরা। যেন কোন মুহুর্তে এই সব ভবন ধসে ঘটতে পাড়ে বড় ধরণের দুর্ঘটনা বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবক মহল। এমন আতঙ্ক আর উৎকন্ঠা নিয়ে চলছে শিক্ষা কার্যক্রম। এ ছাড়াও অনেক বিদ্যালয়ের ভবন রয়েছে টিনসেড দ্বারা নির্মিত। ঝরে যে কোন মুর্হুতে ভেঙ্গে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, রাণীনগর উপজেলায় ১শ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এই সব বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাকালে কেথাও মাটির ঘর আবার কোথাও টিনসেড অথবা বাঁশের কুঞ্চির বেড়া দিয়ে নির্মিত কক্ষে পাঠদান করা হতো। শিক্ষা বিস্তার ও শিক্ষার মান উন্নয়নে (১৯৯৩-১৯৯৪) ও (১৯৯৫) ইং সাল নাদাগ বিদ্যালয়ের মাটির ঘর কিম্বা টিনসেডের ঘর ভেঙ্গে ১ তলা ভবন নির্মান করা হয়। শিক্ষকরা বলছেন ভবন নির্মান কালে নির্মানের সামগ্রী ব্যবহার ও ঠিকাদারের অদক্ষতার কারনে মাত্র ২৫-৩০ বছরের মধ্যে কোন কোন ভবনের সিলিং প্লাস্টারসহ কংক্রিট খুলে পরে যাচ্ছে। আবার কোন কোন ভবনের বিম ও সিলিংসহ ওয়ালে ফাটল ধরেছে।

এছাড়াও বেশ কয়েকটি বিদ্যালয় রয়েছে যা বাঁশের কঞ্চির বেড়া কিম্বা টিনসেড দিয়ে নির্মিত। ঝুঁকিপূর্ন এই সব ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণা করে আবার নতুন ভবন নির্মানের আবেদন করতে থাকলে রাণীনগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস ঝুঁকিপুর্ণ ভবনের তালিকা করে রাণীনগর উপজেলা প্রকৌশলী (এজিইডি) অফিসে প্রেরণ করেন। এর পর মোট ৪১টি বিদ্যালয় ভবন ঝুঁকিপূর্ন হিসাবে চিহ্নিত করে রাণীনগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে একটি প্রতিবেদন দালিল করেন উপজেলা প্রকৌশলী (এজিইডি) অফিস। এইসব ঝুঁকিপুর্ন ভবনের প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে ইতি মধ্যেই সংলিষ্ট উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষ বরাবর একটি তালিকাসহ প্রতিবেদন পাঠিয়েছে উপজেলা শিক্ষা অফিস।

এ ব্যাপারে সরদারকয়া ও বারিয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শখিন উদ্দিন, দামুয়া বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এসএম আফজাল হোসেনসহ অন্যান্য শিক্ষরা জানান, ভবন গুলো ঝুঁকিপুর্ণ হওয়ায় সব সময় আতঙ্ক আর উৎকন্ঠা নিয়েই শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে। দ্রুত এই সব বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষকরা।

এ ব্যাপারে রাণীনগর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এমএম মাহবুবুর রহমান বলেন, এই সব ভবনগুলো ঝুঁকিপুর্ন হিসাবে চিহ্নিত করে সংলিষ্ট উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষ বরাবর একটি তালিকাসহ প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। আশা করছি কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

স/জি