জয়পুরহাটে বোরো ধান কাটা হয়েছে ৩২ শতাংশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, জয়পুরহাট:

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের আশঙ্কা থাকার পরেও শ্রমিক সংকট ছাড়া জয়পুরহাটে উৎপাদিত প্রায় ৬৯ হাজার ৪২৫ হেক্টর জমির বোরো ধান মে মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত ৩২ শতাংশ কাটা হয়েছে।

মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মাঠে পেকে যাওয়া ধান নিয়ে বিপাকে পড়েছেন চাষিরা। প্রশাসনের সহায়তায় বিশেষ উদ্যোগে বিভিন্ন এলাকা থেকে কৃষিশ্রমিক পাঠানো হলেও শ্রমিকের অভাব মিটছে না। তবে জয়পুরহাটে উল্টো চিত্র, এখানে নেই কোন শ্রমিক সংকট। এমনটিই বলেছেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক স. ম. মেফতাহুল বারি।

জয়পুরহাট কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক স. ম. মেফতাহুল বারি জানান, “জেলায় কোন রকমের শ্রমিক সংকট নেই তবে ধান কেটে ঘরে তোলা আমাদের এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ জেলায় চলতি মৌসুমে ৬৯ হাজার ৪২৫ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। আর ধানের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৮১ হাজার মেট্রিকটন।”

“জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের হিসেবে ৬ হাজার ১০০ শ্রমিকের একটি দল জেলায় ধান কাটার কাজ করছে। মে মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে এই জেলায় ধান কাটা শুরু হয়। এখন পর্যন্ত এ জেলায় মাঠ থেকে মোট ৩২ শতাংশ ধান কেটে ঘরে তোলা সম্ভব হয়েছে।”

ধান কাটার কাজে শ্রমিক ছাড়াও আধুনিক সরঞ্জাম ব্যবহার করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, নতুন পুরাতন একত্রে ১৮টি কম্বাইন্ড, ৭টি রিপারসহ অসংখ্য প্যাডেল প্রেশার ব্যবহার করা হচ্ছে। জেলায় মে মাসের মধ্যে ৪০ থেকে ৫০ ভাগ ধান কাটা শেষ হবে। আর বড় কোন ধরনের দুর্যোগ না হলে জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে এ জেলার শতভাগ ধান কেটে ঘরে তোলা সম্ভব হবে। জেলায় এখন অনেক শতাংশ ধান কাঁচা রয়েছে বলেও তিনি জানান।

স/অ