গোমস্তাপুরে সেচের অভাবে বোরো ধান হুমকির মুখে 

গোমস্তাপুর প্রতিনিধি:
বরেন্দ্র উন্নয়ন কতৃর্পক্ষের ( বিএমডিএ) অবহেলায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নে বড়বিলের প্রায় ১২শ বিঘা জমির বোরোধান মরতে বসেছে।
ওই এলাকার কৃষকদের অভিযোগের প্রেক্ষিত বৃহস্পতিবার ওই এলাকা সরজমিনে পরিদর্শন করে এ তথ্য পাওয়া গেছে। সরজমিনে দেখা যায়,দীর্ঘদিন দিন যাবত পানি সরবরাহ বন্ধ থাকায় পানির অভাবে ওই এলাকার জমিগুলো শুকিয়ে গেছে।এছাড়া ধানগাছগুলো শুকিয়ে বিবর্ন হয়ে গেছে। কৃষকরা জানায় এ অবস্থা চলতে থাকলে ধানরক্ষা করা দূরহ হয়ে পড়বে।
জানা গেছে, বিএমডিএর গোমস্তাপুর জোনের আওতায় রামদাস সেতুর নিচে পূনর্ভবা নদী থেকে সেচ পাম্পের( মর্টারের) মাধ্যমে পানি  উত্তোলন করে আকারির বাঁধ (খাঁড়ি) হয়ে সেচের পানি ওই এলাকায় অবস্থিত ৫ টি এলএলবি পাম্পের মাধ্যমে ওই এলাকার জমিগুলোতে সরবরাহ করা হয়ে থাকে। ওই এলাকার এলএলবি পাম্প চালকরা জানায়, বিএমডিএ খালে গত কয়েকদিন যাবত পানি সরবরাহ না করায় আমরা কৃষকদের জমিতে পানি সরবরাহ করতে পারছি না।
এরফলে অনাবৃষ্টি ও চলতি দাবদাহের মধ্যে  ঠিকমত জমিতে পানি সরবরাহ না করায় ওই এলাকার শতশত বিঘা জমির ধান হুমকির মুখে পড়েছে। কৃষকরা জানায়,পানির উৎস মুখ সচল রাখতে তারা নদী খনন করে বিএডিএকে সহযোগিতা করার পরও সেচকাজ স্বাভাবিক রাখতে  তারা কোন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়নি।
এমনকি কোন সমস্যা হলে বিএমডিএর সংশ্লিষ্ট ইলেকট্রিশিয়ানদের ( মেকানিক) সেবা পাওয়া যায় না। ওই এলাকার কৃষক বীর মুক্তিযোদ্ধা তাজুল ইসলাম সোনার্দী জানান, বিষয়টি আমরা ইউএনওর মাধ্যমে জেলা প্রশাসক মহোদয়কে অবহিত করবো।
তবে, বিএমডিএর দাবী, ওই এলাকার সেচের পানির মূল উৎস পূনর্ভবা নদীর পানির স্তর আশংকাজনক হারে নিচে নেমে যাওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট অপারেটর আনোয়ার হোসেন জানান, কৃষকরা দীর্ঘদিন যাবত সেচের পানি না পাওয়ার যে অভিযোগ করেছে তা সঠিক নয়।
নদীর পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় গত ২ দিন যাবত ওই এলাকায় পানি সরবরাহ করা  সম্ভব হয়নি।আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে  সেচপাম্পগুলো নদীর পানির কাছাকাছি নিয়ে পানি উত্তোলনের চেষ্টা করা হবে। এ প্রসঙ্গে বিএমডিএ, গোমস্তাপুর জোনের সহকারী প্রকৌশলী আহসান হাবীবের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, কৃষকদের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,নদীর পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তবে আমরা দ্রুত কৃষকদের দূর্ভোগ লাঘবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।