আক্কেলপুর রেলওয়ে স্টেশনে অসুস্থ ছিন্নমূল বৃদ্ধা আয়েশার হাসপাতালে মৃত্যু

আক্কেলপুর (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি:
জয়পুরহাটের আক্কেলপুর রেল স্টেশনে গত তিন দিন থেকে ঘুরছিলেন ষাটোর্ধ বৃদ্ধা আয়েশা। সোমবার বিকালে সে অসুস্থ্য হলে স্থানীয় বেকারী ব্যবসায়ী এরফান আলী তাকে পুলিশের সহায়তায় হাসপাতালে ভর্তি করান। চিকিৎসাধী অবস্থায় মঙ্গলবার সকালে তার মৃত্যু হয়। তিনি রাজশাহী পবা উপজেলার গোলায় গ্রামের কফিল উদ্দিনের মেয়ে বলে জানা গেছে। তার বসতভিটা পদ্মা নদীতে ভাঙনে বিলিন হওয়াই ছিন্নমূল অবস্থায় রেলে স্টেশনে থাকতেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তিনি রাজশাহী পদ্ম নদীর পাড়ে দির্ঘ দিন থেকে বসবাস করতেন। সর্বনাশা পদ্মা নদীর ভাঙনে বসত ভিটা হারান ষাট বছর বয়সী বিধবা বৃদ্ধা আয়েশা। একটি মেয়ে থাকলেও কয়েক বছর আগে সে মারা যায়। বসত ভিটা ও পরিবার হারিয়ে রাজশাহী পবা উপজেলার গোলায় গ্রামে আশ্রয় নেন। সেখানেও বাস্তব হয়নি তার। সেখান থেকে ছিন্নমূল অবস্থায় ঘুরে বেড়ান বিভিন্ন এলাকায়।
সর্বশেষ গত তিন দিন আগে ট্রেন যোগে এসে আক্কেলপুর রেল স্টেশনে নামেন। তিনি স্টেশনের বিশ্রামাগারের বারান্দায় শুয়ে থাকতেন। সোমবার বিকালে হঠাৎ সে অসুস্থ্য হয়ে পড়লে স্থানীয় বেকারী ব্যবসায়ী এরফান আলী এগিয়ে আসেন। তিনি সাথে সাথে জরুরী সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে থানা পুলিশের সহায়তায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্ষে ভর্তি করান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার সকালে মৃত্যু বরণ করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. মাকছুদুর আকন্দ সানি বলেন, বৃদ্ধা আয়েশা হৃদরোগে আক্রান্ত ছিলেন। তার সারা শরীর ফুলে গিয়েছিল।  এরফান আলী নামের এক ব্যক্তি তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। আজ সকালে চিকিৎসা চলাকালে তিনি মারা যান।
বেকারী ব্যবসায়ী এরফান আলী বলেন, বৃদ্ধা গত তিন দিন থেকে জরাজির্ণ অবস্থায় প্লাটফর্মের বিশ্রামাগারের বারান্দয় অসুস্থ্য অবস্থায় থাকতেন। তাকে কেউ সহায়তা করেনি। সোমবার সে গুরুতর অসুস্থ্য হলে পুলিশের সহায়তায় তাকে হাসপালে নিলে মঙ্গলবার সে মারা যায়। তিনি সহায় সম্বলহীন অসহায় এক নারী।
আক্কেলপুর থানার উপ-পরিদর্শক গোলাম রব্বানী বলেন, জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এর মাধ্যমে ফোন পেয়ে স্টেশন থেকে গুরুতর অসুস্থ্য অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার এলাকায় খবর দেওয়া হয়েছে। বৈধ স্বজন পেলে মরদেহ দেওয়া হবে। আর না পেলে স্থানীয় পৌরসভার সরকারি গোরস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে।