মুভমেন্ট পাস পেতে কিছুদিন সময় লাগবে : পুলিশ সদর দফতর

করোনা প্রাদুর্ভাবের মধ্যেও যাদের একান্তই বাইরে যাওয়া প্রয়োজন তাদের জন্য মুভমেন্ট পাসের ব্যবস্থা করছে বাংলাদেশ পুলিশ। তবে এই পাস দিতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে। পুলিশ সদর দফতর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

পুলিশ সদর দফতরের আইসিটি বিভাগের সহকারী পুলিশ সুপার ফরহাদ কবির এ বিষয়ে বলেন, আইজিপি স্যারের নির্দেশনা অনুযায়ী পুলিশ সদর দফতরের আইসিটি বিভাগ এই পাস তৈরির একটি প্রক্রিয়া শুরু করে। আমরা মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছে তাদের মতামত নেয়ার জন্য এই পাস ইস্যুর প্রক্রিয়ার লিংকটি পাঠাই। কিন্তু কিছু অফিসার বিষয়টি না বুঝে ফেসবুকে অ্যাপের প্রচারণা শুরু করেন। বর্তমানে অ্যাপের অ্যাকশন বাটনটি ডিজেবলড (নিষ্ক্রিয়) করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সাময়িক অসুবিধার জন্য আমরা দুঃখিত। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা পেলে এই কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হবে।

পুলিশ সদর দফতরের আইসিটি উইংয়ের সমন্বয়ে শুরু হতে যাওয়া এই কার্যক্রমে জরুরি পণ্য পরিবহন, সেবাদানসহ ব্যবসায়ী ও চাকরিজীবীদের যাচাই-বাছাই করে দেয়া হবে এই পাস।

পুলিশ সদর দফতর সূত্রে জানা গেছে, মুদি দোকানে কেনাকাটা, কাঁচাবাজার, ওষুধপত্র, চিকিৎসা, চাকরি, কৃষিকাজ, পণ্য পরিবহন ও সরবরাহ, ত্রাণ বিতরণ, পাইকারি/খুচরা ক্রয়, পর্যটন, মরদেহ সৎকার, ব্যবসা ও অন্যান্য ক্যাটাগরিতে দেয়া হবে এই পাস। যাদের বাইরে চলাফেরা প্রয়োজন কিন্তু কোনো ক্যাটাগরিতেই পড়েন না, তাদের ‘অন্যান্য’ ক্যাটাগরিতে পাস দেয়ার বিষয়ে বিবেচনা করা হবে।

পাস সংগ্রহের জন্য এই ওয়েবসাইটে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র, ড্রাইভিং লাইসেন্স, পাসপোর্ট, জন্মনিবন্ধন সনদ, স্টুডেন্ট আইডি ইত্যাদি ব্যবহার করা যাবে।

সড়কে কোথাও চলাচলের কারণে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হলে এই পাস দেখালেই তার পরিচয় নিশ্চিত হয়ে যেতে দেয়া হবে।

পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া) মো. সোহেল রানা বলেন, ‘মুভমেন্ট পাস এখনও প্রক্রিয়াধীন এবং পরীক্ষার মধ্যে রয়েছে। আমরা এটি বিভিন্ন ইউনিটে পুলিশ সদস্যদের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে চালু করেছি। আমরা এটি আরও উন্নত করতে কাজ করছি। এটি সম্পন্ন হলে আমরা শিগগিরই চালু করব। আমরা দ্রুতই এ সম্পর্কে ব্রিফ করে বিস্তারিত জানাব।’