বুধবার , ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | ১৩ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

এমপি-তৃণমূল বিরোধ চরমে

Paris
সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৮ ৯:৪১ পূর্বাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মী ও দলীয় এমপিদের দ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করেছে। আর এ দ্বন্দ্ব মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে কেন্দ্র। ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকায় কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে তৃণমূল নেতাকর্মীদের সঙ্গে জেলার সংসদ সদস্যদের দ্বন্দ্ব নিরসনে জরুরি সভা হয়। কিন্তু বিরোধ নিরসন করা যায়নি। এ কারণে ২২ সেপ্টেম্বর রাজশাহীতে কেন্দ্রীয় নেতারা আবার সভা ডেকেছেন। সেই সভায় দ্বন্দ্ব নিরসন হবে বলে আশা করছে কেন্দ্র।

সোমবার রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে কেন্দ্র। জানা যায়, ৬ সেপ্টেম্বরের সভায় আওয়ামী লীগের এমপিরা অভিযোগ করেন যে, জেলা সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদের নেতৃত্বে ও উসকানিতে নেতাকর্মীদের মাঝে এমপিবিরোধী মনোভাব সৃষ্টি হয়েছে। এতে দলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। দলের সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। আসাদের বিরুদ্ধে জেলার কয়েকজন এমপির দেয়া অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে শোকজ করা হয়েছে।

জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের যুগান্তরকে বলেন, আসাদকে শোকজ করা হয়েছে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে। তার কাছ থেকে কিছু সাংগঠনিক বিষয়ের জবাব চাওয়া হয়েছে। আসাদের জবাব সন্তোষজনক না হলে তার বিরুদ্ধে শক্ত সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

রাজশাহী বিভিন্ন উপজেলা ও পৌরসভার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের অনেকেরই অভিযোগ- রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর), রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) ও রাজশাহী-৬ (চারঘাট-বাঘা) সংসদীয় এলাকায় নৌকার পক্ষে সভা সমাবেশ ও শোডাউন করা হচ্ছে আসাদের ইন্ধনে। এসব সভা-সমাবেশে স্থানীয় এমপিদের ডাকা হয় না। সভা-সমাবেশে এমপিদের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করছেন তৃণমূল নেতাকর্মীরা। এতে দলের সংহতি ও শৃঙ্খলা প্রায় ভেঙে পড়েছে। এ কারণেই আসাদকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবি তুলেছেন এমপিদের কেউ কেউ। পবা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি বারী খান বলেন, আসাদ এক শ্রেণীর নেতাকর্মী দিয়ে রাজশাহী-৩ আসনসহ বিভিন্ন আসনে সমাবেশ করেছেন।

এদিকে আসাদকে শোকজের খবরে রাজশাহীতে দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ করা গেছে। এমপি সমর্থকরা বলছেন, আসাদের ইন্ধনেই একেকটি সংসদীয় আসনে ৮-১০ জন করে মনোনয়ন পেতে মাঠে নেমেছেন। এতে প্রতিটি সংসদীয় এলাকায় চরম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে আসাদ অনুসারীরা বলছেন, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতিকে আসাদই জেলাব্যাপী বিস্তৃত ও সংগঠিত করেছেন। আর অনেক এমপি তৃণমূল নেতাকর্মীদের অবজ্ঞা-অবহেলা করে জামায়াত-বিএনপি থেকে আসা নেতাকর্মীদের নিয়ে রাজনীতি করছেন। এতে তৃণমূল আওয়ামী লীগ মারাত্মকভাবে ক্ষুব্ধ। এ ব্যাপারে তাদের একমাত্র বলার জায়গা হচ্ছে সাধারণ সম্পাদক আসাদ। জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ বলেন, এমপিদের সঙ্গে এখন জামায়াত-বিএনপি থেকে আসা নেতাকর্মীরা দলে খবরদারি করছেন। এতে সামগ্রিকভাবে তৃণমূলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা কোণঠাসা ও বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন। রাজশাহীতে আওয়ামী লীগে অভ্যন্তরীণ এ দ্বন্দ্ব সম্পর্কে জানতে চাইলে দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ২২ সেপ্টেম্বর রাজশাহীতে সভা ডাকা হয়েছে। এতে জেলা আওয়ামী লীগের সমস্যা নিয়ে আলোচনা ও সমস্যার সমাধান করা হবে।

সর্বশেষ - রাজনীতি