সোমবার , ১৪ আগস্ট ২০১৭ | ১৩ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

তানোরে ভারি বর্ষণে তলিয়ে গেছে ফসলি জমি: পানিবন্দী শতাধিক পরিবার

Paris
আগস্ট ১৪, ২০১৭ ৫:৪১ অপরাহ্ণ

তানোর প্রতিনিধি:

তানোরে গত দুই দিনের ভারি বর্ষণে তলিয়ে গেছে নিচু এলাকার রোপা আমন ধানের কয়েক হাজার হেক্টর ফসলি জমি। এ ছাড়াও পানিবন্দী হয়ে পড়েছে প্রায় শতধিক পরিবার। এতে করে চরম আতঙ্কে রয়েছেন ওইসব এলাকার কয়েক হাজার মানুষ।

তবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শওকাত আলী, তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেজাউল ইসলাম, প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের সহকারী প্রকৌশলী এনামুল হক, তানোর পৌর মেয়র মিজানুর রহমান, কমারগা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোসলেম উদ্দিন ও চান্দুড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সাথে দেখা করে তালিকা করার নির্দেশ দিয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত দুদিনের ভারি বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পানিতে শিবনদীর পানির ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পেতে শুরু করে এবং মুহূর্তের মধ্যে নিচু এলাকার রোপা আমন ক্ষেত তলিয়ে যায়। এতে কৃষকদের রোপনকৃত আমন ক্ষেত বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যায়। পানিবন্দী হয়ে পড়ে প্রায় শতাধিক পরিবার।

এ নিয়ে তানোর পৌর এলাকার বেলপুকুরিয়া গ্রামের কৃষক খলিলুর রহমান ও মামুন জানান, এবার শ্রাবণের টানা দু’দিনের বর্ষণে ও উজান থেকে আসা পানিতে আমাদের নিচু এলাকার রোপা আমনের প্রায় ১০ বিঘা জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত সরকারী ভাবে তালিকা কিংবা খোঁজ নেয়নি।

তানোর পৌর এলাকার হলদার পাড়ার পানিবন্দী দিপক ও ড্রেন পাড়ার ফরিদ সহ ১০-১৫ টি পরিবারের লোকজন অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা পানিবন্দী হয়ে আছি। কোন মতে অর্ধহারে অনাহারে দিন কাটাতে হচ্ছে। কেউ আমাদের সাহায্য সহযোগিতা করছে না। তাই আমাদের দাবি সরকারের কাছে সরকার যেন আমাদের মত পানিবন্দ মানুষের পূনর্বাসনসহ ও সাহায্যের হাত বড়িয়ে দেয়।’

তানোর পৌর মেয়র মিজানুর রহমান মিজান জানান, ‘আমি নিজে সোমবার সকাল থেকে পৌর এলাকার ঘুরে পানিবন্দী ও রোপা আমন ধানের ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরে তালিকা তৈরি করছি। তাদের সরকারী সাহায্যের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত ভাবে আবেদন করব।’

তানোর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘দু’দিনের ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে আসা পানিতে নিচু এলাকার রোপা আমন ক্ষেতের ক্ষতি হয়েছে। তবে, কি পরিমান ক্ষতি হয়েছে তা আমি জানাতে পারেননি। ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা করার কাজ চলছে বলে তিনি জানান।’

তানোর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শওকাত আলী বলেন, ‘আমি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের তালিকা করার জন্য কৃষি অফিসারকে নির্দেশ দিয়েছি। পানিবন্দী মানুষদের তালিকা করার জন্য উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায় অফিসারকে বলা হয়েছে। পানিবন্দী ও ক্ষতিগ্রস্থদের প্রাথমিক তথ্য নিয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সাহায্যের জন্য অনুরোধ করা হবে।’

স/বি

 

 

 

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর