শুক্রবার , ৩০ ডিসেম্বর ২০১৬ | ২০শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

অলস পড়ে আছে তামাক পণ্যের সারচার্জের ৬শ’ কোটি টাকা

Paris
ডিসেম্বর ৩০, ২০১৬ ১০:০৯ পূর্বাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

গত আড়াই বছরে তামাকজাত পণ্যের সারচার্জ থেকে আয় করা ৬শ’ কোটি টাকা অলস পড়ে আছে সরকারি কোষাগারে। প্রতিদিনই এ অর্থ বাড়লেও তা ব্যবহার করা যাচ্ছে না। তবে সম্প্রতি এ অর্থ তামাকজাত পণ্যের চাষের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ এবং তামাকজনিত রোগের চিকিৎসায় ব্যয় করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। তামাকজাত দ্রব্য থেকে অর্জিত অর্থ ব্যবহার করতে ‘স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ নীতিমালা-২০১৬’ খসড়া প্রস্তুত করেছে জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল।

জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের সমন্বয়কারী মুহাম্মদ রুহুল কুদ্দুস বলেন, ‘তামাকজাত পণ্যের সারসার্জের মাধ্যমে গত আড়াই বছরে আনুমানিক ৬শ’ কোটি টাকা সারচার্জ জমা হয়েছে। কিন্তু নীতিমালা না থাকায় আমরা এই টাকা ব্যবহার করতে পারছি না।’

তিনি আরও বলেন, ‘হাসপাতাল নির্মাণ, রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া ছাড়াও এ অর্থ ব্যয় করে তামাকজাত পণ্যের চাষ ও ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা হবে।’

স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ নীতিমালার খসড়ায় লক্ষ্য ও উদ্দেশে বলা হয়, ‘২০১৪-২০১৫ সালের অর্থ আইনে আমদানি করা এবং দেশে উৎপাদিত তামাকজাত পণ্যের ওপর স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ ১ শতাংশ আরোপ করা হয়। প্রথম বছর ২০১৫ সালে ২২০ কোটি এবং ২০১৬ সালে ২৫০ কোটি আটকা সারচার্জ আসে। চলতি বছর মিলিয়ে প্রায় ৬শ’ কোটি টাকা এসেছে। এসব টাকা ব্যবহার করা যাবে নীতিমালা অনুমোদন হলে। আগামী জানুয়ারিরর মধ্যে মতামত নিয়ে নীতিমালা চূড়ান্ত করা হবে।’

নীতিমালার খসড়ায় তামাকজনিত ক্ষয়ক্ষতির চিত্র তুলে বলা হয়, ‘দেশে তামাক ব্যবহারে মৃত্যু ও ক্ষয়ক্ষতির চিত্র ভয়াবহ। ২০০৯ সালের গ্লোবাল এডাল্ট সার্ভে রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলাদেশে চার কোটি ১৩ লাখ প্রাপ্ত বয়স্ক তামাক সেবন করেন। পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হন চার কোটি ৩০ লাখ মানুষ।’

২০০৪ সালের বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার জরিপ অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রতি বছর তামাকজনিত রোগে মারা যায় ৫৭ হাজার জন, পঙ্গুত্ববরণ করে তিন লাখ ৮২ হাজার জন। আর বাংলাদেশে মোট মৃত্যুর ৬০ শতাংশই হয় তামাকজনিত রোগের কারণে।

নীতিমালায় আরও বলা হয়, গত ৩০ থেকে ৩১ জুলাই অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ এবং ইন্টার-টার্লামেন্টারি ইউনিয়ন আয়োজিত দক্ষিণ এশিয়ার স্পিকার সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার আঙ্গীকার করেন। এ জন্য তামাকজাত প্রণ্যের সারচার্জের অর্থ ব্যবহার করে জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি নেওয়ার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী। পাশপাশি প্রচলিত জটিল কর কাঠামো সহজীকরণ ও উচ্চহারে করারোপের ব্যবস্থাসহ একটি তামাক শুল্ক-নীতিরও ঘোষণা দেন তিনি।

সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন

সর্বশেষ - অর্থ ও বাণিজ্য