অর্থমন্ত্রীর সম্পদ বেড়ে দ্বিগুণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

আওয়ামী লীগের দুই মেয়াদে থাকা অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সম্পদ গত দশ বছরে বেড়েছে এক কোটি ১৩ লাখ টাকা। মন্ত্রী হওয়ার আগে মুহিতের সম্পদের পরিমাণ ছিল ১ কোটি ১৪ লাখ ৮৩ হাজার ৩৬ টাকা এবং বর্তমানে বেড়ে ২ কোটি ২৮ লাখ ১৫ হাজার ৪৯৭ কোটি টাকায় এসেছে। সোমবার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী অনলাইনে ট্যাক্স রিটার্ন জমা দিয়ে সাংবাদিকদের কাছে সম্পদের হিসাব তুলে ধরেন।

এ সময় অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে মোট আয় করেছি ৩৪ লাখ ২৮ হাজার ৩৪১ টাকা। এর মধ্যে ১৭ লাখ ৯৭ হাজার ৩৪৮ টাকা হচ্ছে করযোগ্য আয়। আর করবিহীন আয় হয়েছে ১৬ লাখ ৩০ হাজার ৯৯৩ টাকা। এ আয়ের মধ্যে মোট ট্যাক্স দেয়া হচ্ছে দুই লাখ ২৭ হাজার ৯২১ টাকা, এর মধ্যে এক লাখ ৫৪ হাজার ৪০০ টাকা দেয়া হয়ে গেছে, আজকের চেকটা হচ্ছে ৬২ হাজার ৪৭৮ টাকার।

রিটার্ন দাখিল করতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমার ট্যাক্স রিটার্ন খুব কম। কারণ হল আমার বিনিয়োগের বেশির ভাগ কর রেয়াত সুবিধা পাই। বিনিয়োগের তথ্য তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ওয়েজ অর্নার বন্ড থেকে পাচ্ছি ২ লাখ ৬২ হাজার ৯৭৮ টাকা, সরকারের কাছ থেকে অ্যালাউন্স ১০ লাখ ৬৭ হাজার ৫৮০ টাকা পাই, পেনশন থেকে এক লাখ ২৫ হাজার ৩৪২ টাকা, ইউএস ডলার বন্ড থেকে এক লাখ ৫৮ হাজার ১৭০ টাকা, এরপর আছে ডিভিডেন্ট ইনকাম ১৬ হাজার ৯২৩ টাকা। টোটাল ১৬ লাখ ৩০ হাজার ৯৯৩ টাকা হল নন-ট্যাক্সঅ্যাবল।’ তিনি বলেন, ‘১০ বছরের টোটাল ইনকাম সেটাও আছে, ২০০৮ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত ৩ কোটি ৬৮ লাখ ২৯ হাজার ৬৫০ টাকা, আর এতে অ্যাসেটস ইনক্রিজ হয়েছে এক কোটি ১৩ লাখ ৩২ হাজার ৪৬১ টাকা। এক্সপেনডিচার আছে। দিস ইজ মাই সিচুয়েশন।’

অন্যান্য মন্ত্রী ও এমপি যদি এভাবে ট্যাক্স রিটার্ন দিত তাহলে ভালো হত কিনা? জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘মন্ত্রীরা তাদের হিসাব প্রধানমন্ত্রীকে দেয়। সুতরাং তাদের অ্যাকাউন্টেবিলিটি আছে। আমার ধারণা, কেউ যদি জানতে চান তাহলে ইজিলি জানতে পারবেন।

প্রধানমন্ত্রীর কাছে রিটার্ন জানতে পারবেন।’ তিনি বলেন, ‘ট্যাক্স রিটার্ন খুব প্রাইভেট, নিয়ম হচ্ছে আমারটা কেউ জানবে না, এটা ইনডিভিজুয়াল। আমার মনে হয়, আমি রোজগারে সৎ। যদি ডিকলায়ার করি, তাহলে কিছু হবে না।’ নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মুহিত বলেন, ‘নির্বাচন তো আমি করছি না, আমার এটা রিল্যাক্স পিরিয়ড যাচ্ছে।

ইয়েস ক’দিন পর আমার বয়স ৮৫ হবে। দিস ইজ গুড টাইম টু রিটায়ার্ড। ক’জন আছে, আমার বয়স পর্যন্ত চাকরি করে? হ্যাঁ মাহাথির সাহেব (মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী) আছেন।’

আগামী সরকারে অর্থমন্ত্রী কে হতে পারেন? জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এটি প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত।’ এ সময় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (কর প্রশাসন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) জিয়াউদ্দিন মাহমুদ, কর অঞ্চল-৮ এর কর কমিশনার সেলিম আফজালসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।