মঙ্গলবার , ৫ মার্চ ২০১৯ | ১৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

নার্সারিতে তরুণদের কর্মসংস্থান

Paris
মার্চ ৫, ২০১৯ ২:৩২ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

প্রতিনিয়ত নার্সারি ব্যবসার প্রসার ঘটছে। বছর কয়েক আগেও এ ব্যবসার বিস্তার খুব একটা লক্ষ্য করা যায়নি। কিন্তু সময়ের পালাবদলে বর্তমানে দ্রুত এ ব্যবসার প্রসার ঘটছে। স্বল্প পুঁজিতে এবং কম সময়ে বেশি আয়ের নিশ্চয়তায় এখন অনেক শিক্ষিত তরুণ নার্সারি ব্যবসায় জড়িত হচ্ছেন। তাই এ খাতে তৈরি হচ্ছে সাহসী উদ্যোক্তা। ফলে এখন ফুটপাত কিংবা অভিজাত এলাকায় অলিগলিতে ছোট-বড় ও মাঝারি আকারের নার্সারি ব্যবসা গড়ে উঠেছে।

জানতে চাইলে নার্সারি মালিক সমিতির সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ  জানান, নার্সারি ব্যবসায় অল্প বিনিয়োগে বেশি লাভ করা যায়। আর প্রতিনিয়ত নার্সারিগুলোতে বেচাকেনা বেড়ে যাওয়ায় মালিক-কর্মচারীরাও স্বাবলম্বী হয়ে উঠছেন। পাঁচ বছর আগে যেখানে একটি নার্সারিতে মাসে ১ থেকে ২ লাখ টাকা বিক্রি হতো, এখন সেখানে এ ব্যবসায় প্রতি মাসে ৩ থেকে ৫ লাখ টাকা বিক্রি হয়। তাই এ ব্যবসায় বর্তমানে অনেক শিক্ষিত যুবক আগ্রহ দেখাচ্ছেন। সঙ্গে নার্সারি বাড়ায় নতুন নতুন কর্মসংস্থানও তৈরি হচ্ছে।

বিশ্বজুড়ে এখন পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও সবুজায়ন স্লোগান জোরালো হচ্ছে। এ স্লোগান ধারণ ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে এগিয়ে যাচ্ছে সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈশ্বিক উষ্ণতার হাত থেকে পরিবেশকে বাঁচাতে সবুজায়নের আহ্বান জানান। এজন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগও শুরু হয়েছে। মূলত এসব কারণে দেশে সচেতনভাবেই নার্সারি ব্যবসার প্রসার ঘটেছে।

এ বিষয়ে কয়েকজন তরুণ নার্সারি উদ্যোক্তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এখনও দেশে বেসরকারি পর্যায়ে সরাসরি অর্থ সহায়তা মিলছে না। তবে উদ্যোক্তারা বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে এ ব্যবসা দীর্ঘস্থায়ী হবে বলেই আশা করছেন। তারা দাবি করছেন, এ খাতে উদ্যোক্তাদের নীতিগত সহায়তা দিতে যদি অনুদান ও ঋণ সহযোগিতা সম্প্রসারণ ঘটানো যায়, তাহলে নার্সারি ব্যবসার পরিধি আরও বাড়বে।

বাংলাদেশ নার্সারি মালিক সমিতির তথ্যমতে, সারা দেশে তালিকাভুক্ত ২২ হাজার নার্সারি আছে। এসব নার্সারি ঘিরে প্রতিদিন কয়েক কোটি টাকার লেনদেন হচ্ছে। এছাড়াও গড়ে ওঠা এসব নার্সারিতে ব্যাপকভিত্তিক কর্মসংস্থানও তৈরি হয়েছে। সরাসরি এর মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করছে প্রায় ৩ লাখ মানুষ। আর পরোক্ষভাবে এর সঙ্গে সম্পৃক্ত আছে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ। এছাড়া খোদ রাজধানীতেই রয়েছে ৫২২টি নার্সারি।

এর মধ্যে আগারগাঁও নার্সারি মালিক সমিতির আওতাভুক্ত এলাকা ছোট-বড় মিলে ৪০টি নার্সারি গড়ে উঠেছে। রাজধানীর মিরপুর, যাত্রাবাড়ী, গুলশান, বনানী, সাভারসহ ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় ছোট-বড় মিলে ৮০০টির বেশি নার্সারি রয়েছে।

সরেজমিন রাজধানীর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের ইকুরিয়া ঘুরে দেখা গেছে, ১০ একর জমিতে গড়ে উঠেছে সাথী ফ্লাওয়ার অ্যান্ড নার্সারি। সেখানে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ধরনের ফুল, ফল ও সৌন্দর্যবর্ধক গাছ বিক্রি করতে দেখা গেছে। বিক্রেতা মো. রুবেল যুগান্তরকে বলেন, অল্প বিনিয়োগ ও সঠিক পরিচর্যায় নার্সারি ব্যবসায় বেশি লাভ করা যায়। এ নার্সারিতে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ২০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়।

অন্যদিকে আগারগাঁওয়ের বরিশাল নার্সারির মালিক খোকন এ বিষয়ে জানান, তিনি দৈনিক গড়ে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা বিক্রি করেন। মাসে তার আয় হয় প্রায় ৪ থেকে ৫ লাখ টাকার মতো। তিনি দাবি করেন, অনেকেই নার্সারি ব্যবসা শুরুর তিন-চার বছরের মধ্যে জমি ও বাড়িসহ অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন। ফলে দিন দিন এ ব্যবসার প্রতি মানুষের ঝোঁক বাড়ছে।

বর্তমানে পরিবেশ রক্ষায় শহরের মানুষ এখন অনেক সচেতন। গাছ লাগানোর মতো জায়গা তাদের না থাকলেও বাসাবাড়ির ছাদ, বারান্দাসহ যেখানেই সুযোগ পাচ্ছেন সবুজায়নের সঙ্গে থাকার চেষ্টা করছেন। আগ্রহী এসব ক্রেতার প্রয়োজনীয় রসদের জোগান দিচ্ছে ঢাকায় গড়ে ওঠা এসব নার্সারি। এগুলোতে পাওয়া যাচ্ছে নানা ধরনের সৌন্দর্যবর্ধক গাছ কিংবা ফুল, ফলের চারা, বনজ উদ্ভিদ, সবজি, মসলাসহ হাজারও প্রজাতির বৃক্ষ।

সর্বশেষ - অর্থ ও বাণিজ্য