বৃহস্পতিবার , ৮ জুন ২০১৭ | ১২ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

১০ মাসের বিদ্যুৎ বিল বকেয়ায় বাঘায় ইউনিয়নের সংযোগ বিচ্ছিন্ন

Paris
জুন ৮, ২০১৭ ৪:২৩ অপরাহ্ণ

বাঘা প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাঘা উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকার কারনে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। দীর্ঘ ১০ মাসে ১৮ হাজার ৫৪৮ টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে বলে জানা গেছে। গত মঙ্গলবার দুপুরে এই সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করা হয়। এই নিয়ে চরম হয়রানির শিকার হচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদের তথ্য সেবা কেন্দ্রে আসা জনসাধারণ।
সরেজমিনে গিয়ে দুপুরে পাকুড়িয়া ইউনিয়নে গিয়ে দেখা যায়, ভ্যাপসা গরমে এক কক্ষে বসে রয়েছে ইউনিয়ন সচিব সাইফুল ইসলাম সাঈদ। চারেদিক ঘিরে দাড়িয়ে রয়েছে বিভিন্ন কাজ নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের তথ্য সেবা কেন্দ্রে আসা স্কুল পড়ুিয়া ছাত্র-ছাত্রীসহ স্থানীয় বাসিন্দা। এরমধ্যে রকি কুমান শাহা, শ্রীমতি মুক্তি রানী শাহা, রনজিত কুমার শাহা ও ইসমতারা নামের এক ছাত্রীও দাড়িয়ে রয়েছে।
এরা কেন আপনাকে ঘিরে দাড়িয়ে আছে জানতে চাইলে ইউনিয়ন সচিব সাইফুল ইসলাম জানান, পরিষদের তথ্য সেবা কেন্দ্রের নানান কাজ নিয়ে এসেছে তারা। পরিষদের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় কারনে কারও কোন কাজ করে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ফলে তথ্য সেবা কক্ষে থেকে ফিরে অভিযোগ নিয়ে দাড়িয়েছে রয়েছেন তারা।
বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন কেন এই জানতে চাইলে সচিব সিল্কসিটি নিউজকে জানান, গত মঙ্গলবার দুপুরে বিশেষ কাজে বাঘা বাজারে গিয়েছিলাম। ফিরে এসে দেখি বিদ্যুৎ নাই। পরিষদে থাকা গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে জানতে পারি বকেয়া বিলের জন্য পল্লী বিদ্যুতের লোকজন এসে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। দীর্ঘ ১০ মাসের ১৮ হাজার ৫৪৮ টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে এবং চেয়ারম্যান নিয়োমিত পরিষদে আসেন না বলেও জানান তিনি।
তথ্য সেবা কেন্দ্রের উদ্দ্যেক্তা লালন উদ্দীন বলেন, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ফকরুল হাসান বাবলুর অবহেলায় পূর্বেও এই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিল। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হামিদুল ইসলাম স্যারের সুপারিশে সংযোগ দিয়েছিল। এরপর তিনি বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ না করায় গত মঙ্গলবার ফের সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এছাড়াও এই ভ্যাপসা গরমে পরিষদে পানি খাওয়ার মতো একটি টিউবয়েলও নেই। পানি খাওয়ার জন্য অন্যত্র থেকে পানি টেনে এনে খেতে হচ্ছে।
বিদ্যুৎ বিলের ব্যাপারে জানতে চাইলে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ফকরুল হাসান বাবলু জানান, তথ্য সেবা কেন্দ্রের উদ্দ্যেক্তা লালন উদ্দীন পরিষদের সমস্ত বিল পরিশোধ করবে মর্মে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এব্যাপারে তার সাথে একটি চুক্তি পত্র রয়েছে বলেও জানান তিনি।
পাকুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকার কারনে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে বলে স্বীকার করেন বাঘা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের এজিএম মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম।

স/অ

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর