হিজবুল মুজাহিদিন প্রধানের সঙ্গে আইএসআইর সরাসরি সংযোগ রয়েছে

সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ফের ধাক্কা খেল পাকিস্তান। জঙ্গি দমন বা সন্ত্রাস বন্ধে ফিন্যানশিয়াল অ্যাকশন টাস্কফোর্সে (এফএটিএফ) অ্যাকশন প্ল্যান বাস্তবায়নে পাকিস্তানের পারফরম্যান্স পর্যালোচনার জন্য উঠবে আগামী অক্টোবরে। এর আগেই সামনে এলো ভয়ংকর নথি। সে নথির তথ্যমতে, হিজবুল মুজাহিদিনের নেতা সৈয়দ মুহাম্মদ ইউসুফ শাহর সঙ্গে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইর গভীর যোগ রয়েছে। যিনি সৈয়দ সালাউদ্দিন নামে অধিক পরিচিত।

শুধু গভীর যোগাযোগই নয় এ জঙ্গি নেতাকে পাকিস্তান গোয়েন্দা বাহিনীতেও নিয়োগ দিয়েছে বলে নথিতে বলা হয়েছে। ধারণা করা হয়, হিজবুল মুজাহিদিনকে ভারতে ভয়াবহ সন্ত্রাসবাদ ছড়িয়ে দেওয়ার কাজে ব্যবহার করে পাকিস্তান। গত ৫ সেপ্টেম্বর ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ ১৮-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

ভারতীয় গোয়েন্দা সূত্রের খবর, পাকিস্তানের গোয়েন্দা বিভাগে ‘অফিসার’ হিসেবে নিযুক্ত রয়েছেন সৈয়দ মুহাম্মদ ইউসুফ শাহ ওরফে সৈয়দ সালাহউদ্দিন। মোস্ট ওয়ান্টেড এই জঙ্গি নেতাকে পদ দেওয়া হয়েছে গোয়েন্দা বিভাগে। হিজবুল মুজাহিদিনের পাশাপাশি তিনি ইউনাইটেড জিহাদ কাউন্সিলেরও প্রধান। লস্কর ও জইশকে সঙ্গে নিয়ে এই ইউনাইটেড জিহাদ কাউন্সিল চালু করেছেন সালাহউদ্দিন। ফলে কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ড আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

ইসলামাবাদের একটি নথি অনুযায়ী, হিজবুল মুজাহিদিনের নেতা সালাহউদ্দিনকে আইএসআইয়ের ভালো পদে বসানো হয়েছে। নতুন পদ পাওয়ার পর থেকে সালাহউদ্দিনের জন্য পাকিস্তানে চালু হয়েছে নতুন নিয়ম। সেই নিয়ম অনুযায়ী এখন থেকে ওই জঙ্গি নেতাকে আর কোনো চেকপয়েন্টে আটকানো যাবে না। সালাহউদ্দিন যে গাড়িতে যাতায়াত করবেন, সেটিকে সুরক্ষার জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সালাহউদ্দিনকে ঘিরে এই নির্দেশিকা বহাল থাকবে ২০২০ সালের  ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

এদিকে এ তথ্য বের হয়ে আসায় এবার বেশ বেকায়দায় পড়তে হতে পারে পাকিস্তানকে। দেশটির জন্য সন্ত্রাসবাদে মদদ দেওয়ার ঘটনা নতুন কিছু নয়। তবে ফিন্যানশিয়াল অ্যাকশন টাস্কফোর্সের (এফএটিএফ) বৈঠকের আগে এ তথ্য ইসলামাবাদকে নতুন করে বিড়ম্বনায় ফেলবে বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল। আগামী মাসেই এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ