আল-কায়েদায় ভিড়েছে নব্য জেএমবির সদস্যরা!

নব্য জেএমবির হাত ধরে জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পর পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু তরুণ আল-কায়দার ছাতার নিচে যাচ্ছে। মুর্শিদাবাদ ও কেরালার এরনাকুলাম থেকে সম্প্রতি জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে গ্রেপ্তার ছয়জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এমনই চাঞ্চল্যকর এই তথ্য পেয়েছেন ভারতীয় গোয়েন্দারা।

পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় নব্য জিএমবি যে তাদের জাল বিস্তার করেছে তা জানা ছিল। গোয়েন্দাদের হাতে গত দুই বছরে নব্য জেএমবির কিছু সক্রিয় সদস্য গ্রেপ্তারও হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। কিন্তু গত শনিবার যে ৯ জন আল-কায়দা সদস্য গ্রেপ্তার হয়েছে তাদের মধ্যে অন্তত দুইজন, মুর্শিদ হাসান এবং মোশারফ হোসেন নব্য জেএমবির সদস্য ছিল বলে জানতে পেরেছেন ভারতের গোয়েন্দারা।

গোয়েন্দাদের মতে, ভারত-বাংলাদেশের নব্য জেএমবির সদস্যরা গ্রেপ্তার হওয়ার পর নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষা করার জন্য তাদের অনেক সদস্য চলে গেছে আল-কায়েদার ছাতার তলায়। গোয়েন্দা সূত্র থেকে জানা গেছে, গত বছর জুন মাসে নব্য জেএমবি জঙ্গি রাবিউল ইসলাম ধরা পড়ার পরে জানায়, সে মুর্শিদ এবং মোশারফ নামের দুজনকে দলে নিয়োগ দিয়েছিল।

গোয়েন্দারা তারপরে এই দুজনকে অনেক চেষ্টার পরে ধরতে পেরেছেন গত শনিবার। আর সেই গ্রেপ্তারের পরেই জানা গেছে নব্য জেএমবির জঙ্গিদের সাথে আল কায়েদার যোগাযোগের কথা। ‘আল-কায়েদা এতদিন এই উপমহাদেশের বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন যেমন হুজি, আনসারুল্লাহ বাংলা বা লস্কর-এর মতো দলগুলোকে এক ছাতার তলায় এনেছিল। নব্য জিএমবি আইএস-এর সাথেও সম্পৃক্ত ছিল। এবার আল-কায়েদা নব্য জেএমবির সদস্যদের নিজেদের দলে টানতে পেরেছে।’ এমনটাই বললেন এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা।

ভারতের অনেক জায়গায় নাশকতামূলক আঘাত হানার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল পশ্চিমবঙ্গ এবং কেরালা থেকে গ্রেপ্তার হওয়া এই জঙ্গিরা। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কর্তব্যরত বিএসএফের জওয়ানদের ওপরে অতর্কিত আক্রমণ চালিয়ে তাদের অস্ত্র লুট করারও পরিকল্পনা ছিল এই দলের সদস্যদের।

সঠিক সময়ে তথ্য পাওয়ার কারণে তাদের গ্রেপ্তার করা গেছে। কিন্তু শুনা গেছে তাদের দলের কিছু সদস্য পালিয়ে গেছে। তাদের ধরার অভিযান চলবে বলে জানিয়েছে এক সূত্র। সেই অভিযান সফল করার জন্য বাংলাদেশের গোয়েন্দাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ