‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে ভূত ও চক্রান্তকারীদের প্রবেশ ঘটেছে’

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা এবং ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, একটা ভ্যাকসিন রিসার্চ করা হবে তাতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এত মাথাব্যথা কেন? স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে ভূতের প্রবেশ ঘটেছে, চক্রান্তকারীদের প্রবেশ ঘটেছে।

তিনি বলেন, আইসিডিডিআর’বি ইউরোপের বিভিন্ন কোম্পানির পক্ষে অতীতেও গবেষণা করেছে; কই তখন তো কোনো আপত্তি তোলা হয়নি। আজকে কেন এখানে আপত্তি? এখন আপত্তির কারণ এখানে ট্রিলিয়ন ডলারের ব্যবসা রয়েছে। এর সঙ্গে জনগণের স্বাস্থ্যব্যবস্থা জড়িত। চীনের এই ভ্যাকসিনের ট্রায়াল যদি সফল হয়, তাহলে আমাদের অনেক অর্থের সাশ্রয় হবে।

শনিবার বেলা ১১টার দিকে গণসংহতি আন্দোলন আয়োজিত অনলাইন ‘জনস্বাস্থ্য কনভেনশন-২০২০’ এর উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।

গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি বলেন, ভ্যাকসিনের গবেষণা অনেক সময়সাপেক্ষ একটা বিষয়। অনেক অর্থের প্রয়োজন হয়। তবে গবেষণা একবার সফল হলে ভ্যাকসিনের উৎপাদন মূল্য অনেক কম হয়। আজকে আমাদের উচিত হবে চীনের এই ভ্যাকসিন গবেষণায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করা।

ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ভ্যাকসিন গবেষণায় চীনের সঙ্গে আমাদের একটা চুক্তি থাকতে পারে- ভ্যাকসিনের সফলতায় শতকরা ৫০ ভাগের মালিক হবো আমরা। জনগণের স্বার্থ রক্ষিত হবে।

তিনি আরও বলেন, ভ্যাকসিন গবেষণা করার জন্য সম্মতি দেয়ার মালিক বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল (বিএমআরসি)। তারা ভ্যাকসিন ট্রায়ালের অনুমতি দিয়েছে। হঠাৎ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এটা বন্ধ করে দিয়েছে। এতে প্রমাণ হয় চক্রান্তে এদের অংশগ্রহণ রয়েছে।

গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি বলেন, বিভিন্নভাবে চর এবং দালালেরা অনুপ্রবেশ করেছে। দেশের জনগণকে বিষয়টি না বোঝাতে পারলে ভবিষ্যতে হয়তো বাংলাদেশে ওষুধের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাবে।

তিনি বলেন, ভ্যাকসিন গবেষণা কোনো কঠিন বিষয় নয়। আজকে আমরা চীনের সহযোগিতা নিয়ে এটা করতে পারতাম। এ বিষয়টিকে আমরা জনগণের সামনে তুলে ধরতে চাই, সেই দায়িত্ব আপনারা নিয়েছেন।