মোহনপুরে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে কোচিংয়ের শিক্ষক গ্রেপ্তার

তানোর প্রতিনিধি:
রাজশাহীর মোহনপুরে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত কোচিং সেন্টারের শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। সপ্তম শ্রেণীতে পড়ুয়া ওই ছাত্রীর মা থানায় মামলা দায়ের পর শুক্রবার রাতে সামিউল ইসলাম শুভ (২৩) নামে ওই কোচিং শিক্ষকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সে বিদিরপুর ফকিরপাড়ার সেলিম রেজার পুত্র। করোনার মধ্যেও মডেল প্রাইভেট কোচিং চালু ছিল। গত ১৪ জুন সকাল সাড়ে ৯ টার পরে সাফল্য মডেল প্রাইভেট হোম কোচিং সেন্টারে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এই বিষয়ে স্কুল ছাত্রীর মা বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার দুইজনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলার সূত্রে জানা গেছে, মোহনপুর উপজেলার মৌগাছি ইউপির বিদিরপুরে সুপ্রতিষ্ঠিতি বে-সরকারী এনজিও আরএসডিপি-ও নিজস্ব জমিতে প্রধান কার্যালয়ের সামনে সাফল্য মডেল প্রাইভেট কোচিং মাজহারুল ইসলাম লিটন কোচিং সেন্টার চালু করে ৬ষ্ঠ ও দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়াতেন।

নির্যাতিত ছাত্রীর মা অভিযোগ করেন, আমার মেয়ে কোচিং সেন্টারে প্রাইভেট করতে গেলে গত ২মাস ধরে কোচিং শিক্ষক শুভ আমার মেয়েকে বিভিন্ন সময় প্রেম নিবেদনসহ বিয়ের প্রলোভন দিত। আমার মেয়ে বিষয়টি আমাকে জানালে আমি সাফল্য মডেল প্রাইভেট হোম কোচিং সেন্টারের পরিচালক মাজহারুল ইসলাম লিটন ও শুভর পরিবারের লোকজনকে বিষয়টি জানিয়ে নিষেধ করি।

ওই দিন প্রাইভেট শেষে সকাল ৯ টার সময় প্রাইভেট শেষ করে কোচিং থেকে বের হওয়ার সময় শিক্ষক সামিউল ইসলাম শুভ আমার মেয়েকে বলে তোমার সাথে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা আছে তুমি পরে বাড়ীতে যাও। শুভ এই কথা বলে আমার মেয়েকে সাফল্য মডেল প্রাইভেট হোম কোচিং সেন্টারের নবম শ্রেণীর ঘরে নিয়ে গিয়ে আমার মেয়েকে ধর্ষণ করে। শুভ যখন আমার মেয়েকে ধর্ষণ করে তখন কোচিং সেন্টারের পরিচালক মাজহারুল ইসলাম লিটন (২৪) বাহিরে পাহারা দিচ্ছিল।

ভুক্তভোগী ছাত্রী বলেন, মাজহারুল ইসলাম লিটন স্যার সবকিছু জানতো , সে আমাকে বলে দেখ তোমার সাথে যা হওয়ার হয়েছে। এটা তোমার ও আমার কোচিং সেন্টারের মানসম্মানের বিষয়। বিষয়টি কাউকে না জানাতে বলেন।

মোহনপুর থানার কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, স্কুল ছাত্রীর মা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে, অভিযুক্ত সামিউল ইসলাম শুভকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। স্কুল ছাত্রীকে শারিরীক পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওসিসিতে ভর্তি করা হয়েছে। অপর আসামী কোচিং সেন্টারের পরিচালক মাজহারুল ইসলাম লিটনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

স/অ