সুপার সাইক্লোন হয়ে আম্পান কতক্ষণ থাকবে?

বঙ্গোপসাগরে চোখ রাঙাচ্ছে সুপার সাইক্লোন ‘আম্পান’। ভয়ংকর রূপে ধেয়ে আসা এ ঘূর্ণিঝড় ২০ মে (বুধবার) খুব ভোর থেকে সন্ধ্যার মধ্যে যে কোনো সময় ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দিঘা থেকে বাংলাদেশের নোয়াখালীর হাতিয়া দ্বীপ পর্যন্ত উপকূলজুড়েই আছড়ে পড়তে পারে।

ইতিমধ্যে এটি এতটাই শক্তি সঞ্চয় করেছে যে, ‘সুপার সাইক্লোনে’ রূপ নিয়েছে এটি। তবে বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানার সময় এর গতি কিছুটা কমে ‘এক্সট্রিম সিভিয়ার সাইক্লোন’ বা ‘অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ে’ রূপ নিতে পারে। এতে ঘূর্ণিঝড়টি ২০০৭ সালের সিডরের মতোই শক্তি নিয়ে আসতে পারে। এমনটাই আভাস দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ঘূর্ণিঝড়ের বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৬৫-১৭৫ কিমি। তবে পরিস্থিতি তেমন হলে আম্পানের সর্বোচ্চ বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৯৫ কিমি পর্যন্ত।

আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, এই ঘূর্ণিঝড় এখন সুপার সাইক্লোনের চেহারা নিয়ে সমুদ্রের উপরে রয়েছে, যার গতিবেগ ঘণ্টায় ২২০-২৩০ কিমি। কিন্তু আম্পান যখন স্থলভাগের দিকে এগোবে, তখন ঝড়ের বেগ কমবে। অর্থাৎ, তখন আর সুপার সাইক্লোন থাকবে না, এক্সট্রিমলি সিভিয়ার সাইক্লোন হিসেবে আছড়ে পড়বে। সাধারণত, এ ধরনের ঘূর্ণিঝড় স্থলভাগের দিকে যত এগোবে, তত শক্তিক্ষয় হবে।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ভারতের আবহাওয়াবিদ সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ”সমুদ্রের ওপরে রয়েছে সুপার সাইক্লোন। আম্পানের ক্ষেত্রে, যখন এটি অতিক্রম করবে, তখন এক্সট্রিমলি সিভিয়ার সাইক্লোন হিসেবে ধেয়ে যাবে। ঘূর্ণিঝড়ের বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৬৫-১৭৫ কিমি। আম্পানের সর্বোচ্চ বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৯৫ কিমি। ”

মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় আম্পান সুপার সাইক্লোন পর্যায়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

এ ব্যাপারে সোমবার রাতে বুয়েটের আইডব্লিউএফএম (পানি ও বন্যা ব্যবস্থাপনা ইন্সটিটিউট)-এর সিনিয়র গবেষক ড. মোহন কুমার দাশ যুগান্তরকে বলেন, ‘আইএমডির তথ্য অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড় আম্পান মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত সুপার সাইক্লোন পর্যায়ে থাকবে।

ভারত মহাসাগরে এপ্রিল ও মে মাসে প্রায় কোন ঘূর্ণিঝড় উৎপন্ন হয়ে বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় বাংলাদেশ, ভারত ও মায়ানমারের উপকূলে আঘাত করেছে।