শিবগঞ্জে একই জমি তিনবার বিক্রি করার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ:
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে একই জমি তিনবার বিক্রি করে ক্রেতার সাথে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার সকালে স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে জমির বিষয়ে প্রতারণার অভিযোগ করেন ভূক্তভোগীরা।

ওই জমির ক্রেতা- উপজেলার মনাকষা ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামের মৃত তোফাজ্জলের ছেলে এসলাম আলী ও বিক্রেতা দূর্লভপুর ইউনিয়নের ঘুঘুডাঙা গ্রামের মৃত গফর আলীর ছেলে নজরুল ইসলাম।

জমির দলিল সূত্রে জানা গেছে, জমির মালিক নজরুল ইসলাম ভবানীপুর মৌজার দাগ নং- আর এস ৩০৩, জেএল নং- আর এস ১১০, খতিয়ান নং- আর এস ৭৭ এর ২৬৯ শতক জমির মধ্যে .১৬৫০ সহস্রাংশ (সাড়ে ১৬ শতক) জমি এসলাম ও আশরাফুলের স্ত্রী ময়নার নিকট হস্তান্তর করে। যার দলিল নং- ৯০১১, তারিখ ২০-০৭-২০১০। এ সাড়ে .১৬৫০ সহস্রাংশ জমির মালিক এসলাম ও ময়না জানান, জমি খারিজ করতে গেলে মনাকষা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী তহশিলদার জানান, পূর্বের মালিকের নামে খারিজ করে পুনরায় জমি রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। তা না হলে এ দলিল টিকবে না।

মূল জমির মালিক বলেন, আমি ওই দাগে আরো .৮২৫ সহস্রাংশ জমি বিক্রির কথা বলে সময় নিয়ে জমি খারিজ করে প্রথমে ২১-০৮-২০১৩ ইং তারিখে নজরুল ইসলাম তার স্ত্রী মোসা: রেহেনার নামে .২৪৭৫ সহস্রাংশ হস্তান্তর করে। যার দলিল নং- ৮৫০১/১৩। একই জমি আবারো ২২-০৮-২০১৩ ইং তারিখে এসলামের স্ত্রীর নাসিমার নামে হস্তান্তর করে। যার দলিল নং- ৮৬৫০/১৩। পরে ওই জমি নজরুল ইসলামের স্ত্রী রেহেনা বেগম আবারো তরিকুল ইসলাম নামে অন্য একজনের নিকট হস্তান্তর করে। বর্তমানে ওই জমি তরিকুল জোরপূর্বক ভোগদখল নিয়েছে।

এ ব্যাপারে জমি বিক্রেতা নজরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, যেহেতু এসলাম টাকা নিয়ে আমার সাথে প্রতারণা করেছে, সেহেতু আমিও জমি নিয়ে তার সাথে প্রতারণা করেছি।

তিনি জানান, এসলাম আলী আমার নিকট প্রথমে .১৬৫০ সহস্রাংশ জমি ক্রয় করে কিছু টাকা বাকি রেখেছিল। সেই টাকা না দেয়ায় আমি কৌশল করে তার নিকট হতে টাকা আদায় করে ভূয়া দলিলে .২৪৭৫ সহস্রাংশ জমি হস্তান্তর করেছি। তবে সে আগের দলিলের জমি .১৬৫০ সহস্রাংশ জমি পাবে।

ভোগ দখলের ব্যাপারে তিনি জানান, জমি কার দখলে থাকবে না থাকবে সেটা এসলামের বিষয়। এখানে আমার কিছু করার নেই।

স/শ