লালপুরে পদ্মানদী তীর রক্ষা কাজের ধ্বস, জনমনে আতঙ্ক

আলাউদ্দিন, লালপুর প্রতিনিধি:
পদ্মা নদীতে তীব্র ভাঙ্গন না থাকলেও পানি কমার সাথে সাথে নদীর তীর রক্ষায় নির্মিত সিসি ব্লকের তৈরী নদী ভাঙ্গন রোধ ব্যবস্থা হুমকীর মুখে পড়েছে। ইতিমধ্যেই প্রায় ৫০০ মিটার এলাকার সিসি ব্লক পদ্মা নদীতে ধ্বসে পড়েছে। গৌরীপুর মোট ৪টি পয়েন্টে ধ্বস নেমেছে।

বুধবার সকালে সরেজমিনে গেলে দেখা যায় যে, সিসি ব্লকের ধ্বস শুরু হওয়ায় নাটোরের লালপুর উপজেলার নদী তীরবর্র্তী পালিদেহা, গৌরীপুর, নুরুল্লাপুর, লক্ষীপুর, তিলকপুর ও নবীনগর গ্রাম হুমকীর মুখে পড়ছে। আর এজন্য এলাকার লোকজন নদী থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনকে দায়ী করছেন।

স্থানীয়রা বলেন, কয়েকদিন ধরে প্রায় প্রতিদিনই ধ্বসের সৃষ্টি হচ্ছে এবং এর কারণ হিসেবে ধারণা করছেন নদীর তলদেশ থেকে বালি উত্তোলনের ফলেই সিসি ব্লকের নিচ থেকে মাটি সরে গিয়ে সিসি ব্লক নদীতে ধ্বসে পড়ছে।

এলাকাবাসী আরো জানায়, পদ্মা নদীর লালপুর উপজেলার নবীনগর, লক্ষীপুর, পালিদেহা, ও গৌরীপুর এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হয়ে থাকে। এলাকার প্রভাবশালী একটি মহল এ কাজের সাথে জড়িত। ফলে ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পান না। পদ্মায় সিসি ব্লক ধ্বসে পড়ছে, হুমকীর মুখে লালপুরের ৬ গ্রাম। দীর্ঘদিন ধরে বালু মহল ইজারা না হলেও নদী থেকে বালু উত্তোলন থেমে থাকে না। প্রতি বছরই নদীর তলদেশ থেকে বালু উত্তোলন করা হয়।

২নং ঈশ্বরদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি মোঃ আমিনুল ইসলাম (জয়) সিলসিটি নিউজকে বলেন, পদ্মা নদী থেকে বালু উত্তোলনের ফলেই নদী তীর রক্ষা কাজের (সিসি ব্লক) ধ্বস নেমেছে।

নাটোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুধাংশু কুমার সরকার সিল্কসিটি নিউজকে জানান, পদ্মানদীর লালপুর অংশে নদীর তীর রক্ষা সিসি ব্লকের ৩০০ মিটার ধ্বস লক্ষ করা গেছে। তবে তা বড় ধরনের কোন সম্যসা নেই। ইতিমধ্যেই কারিগরি কমিটি গঠন করা হয়েছে অতি দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। নদীর তীরে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের বিষয়টি তার জানা নেই বলে তিনি জানান।

স/শ