মঙ্গলবার , ১৬ এপ্রিল ২০১৯ | ১২ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

রানা প্লাজা দুর্ঘটনার শিকার ৫১ শতাংশ শ্রমিক বেকার

Paris
এপ্রিল ১৬, ২০১৯ ৮:৫৩ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

রানা প্লাজা দুর্ঘটনার শিকার জীবিত শ্রমিকদের ৫১ শতাংশ এখন কর্মহীন। দু’বছর আগে এই হার ছিল ৪২ শতাংশ। শারীরিক ও মানসিক দুর্বলতার কারণে শ্রমিকরা কাজ করতে পারছেন না।

মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টার ইন-এ রানা প্লাজা দুর্ঘটনার শিকার জীবিত শ্রমিকদের ওপর করা একটি জরিপ প্রতিবেদনে এমন তথ্য তুলে ধরে অ্যাকশন এইড বাংলাদেশ।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ক্ষতিপূরণ প্রক্রিয়া প্রতিষ্ঠানিক না হওয়ায় শ্রমিকদের এই অবস্থা। গতি কমেছে পুনর্বাসন উদ্যোগেও। রানা প্লাজা দুর্ঘটনার ৬ বছরের প্রাক্কালে ‘ফোর মিলিয়ন মেকিং ৫০ বিলিয়ন : হোয়্যার দি আরএমজি সেক্টর স্ট্যান্ডস সিক্স ইয়ারস আফটার রানা প্লাজা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এই প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতে অ্যাকশন এইড বাংলাদেশের ম্যানেজার নুজহাত জেবিন গবেষণার ফলাফল তুলে ধরেন।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, আহত শ্রমিকদের ২০ দশমিক পাঁচ শতাংশ শ্রমিকের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। গত বছর এই হার ছিল ১২ শতাংশ। এবার ৫১ শতাংশ বলছেন, তাদের শারীরিক অবস্থা কোনো রকম স্থিতিশীল। অন্যদিকে ৫১ শতাংশ শ্রমিক কাজ করতে পারছেন না। এর মধ্যে ৭৪ শতাংশ শারীরিক এবং ২৭ শতাংশ মানসিক দুর্বলতার কারণে কাজ করতে পারছেন না।

যারা কাজে যেতে পেরেছেন তাদের মধ্যে ১৫.৫ শতাংশ আহত শ্রমিকরা গার্মেন্টসে ফেরত গিয়েছেন। আর আহত ২০ শতাংশ জবাব দেন যে তাদের পারিবারিক উপার্জন সর্বোচ্চ ৫০০০ টাকা। একশনএইড বাংলাদেশ-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ্ কবির বলেন, ‘ক্ষতিপূরণ একটি অধিকার। যদি সংঘবদ্ধভাবে ক্ষতিপূরণ দেয়া হতো তাহলে রানা প্লাজায় আহত শ্রমিকদের বর্তমান চিত্রটা হয়তো ভিন্ন হতো।

খণ্ড খণ্ডভাবে টাকা দেয়ার ফলে ক্ষতিপূরণ কোনো উপকারেই আসেনি। যদি সংঘবদ্ধভাবে দেয়া হতো তাহলে হয়তো যারা এখন কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন এবং সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তা করছেন, সেটা হয়তো করতে হতো না।

তাই অবশ্যই আমাদের বড় পরিসরে বিষয়গুলো দেখার পাশাপাশি ছোট বিষয়গুলোও গুরুত্বসহকারে দেখতে হবে। সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, “৬ বছর পর পরিস্থিতির আরও উন্নতি হওয়ার কথা ছিল। তবে দুঃখজনক হলেও সত্য, অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে।

বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের জ্যেষ্ঠ গবেষক নাজনিন আহমেদ বলেন, মূল্যস্ফীতি হিসেবে ধরলে পোশাক শ্রমিকদের বেতন বাড়েনি। সবকিছু হিসেবে ধরলে সর্বনিম্ন বেতন হওয়া উচিত ১২ হাজার টাকার ওপরে।

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)-এর বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর টউমো পৌটিয়ানেন বলেন, ‘অনেক কাজ হয়েছে। কিন্তু অনেক কিছু করার এখনও বাকি রয়েছে। কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে একটি সুনির্দিষ্ট কৌশল নেয়া উচিত। শ্রমিকের নিরাপত্তা এখনও প্রশ্নবৃদ্ধ। যদি একটি দুর্ঘটনা ঘটে যায়, তার জন্য অবশ্যই একটি সুনির্দিষ্ট কাঠামো থাকা উচিত ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের জন্য।”

সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য শামসুন্নাহার ভুঁইয়া-এমপি বলেন, “রানা প্লাজা আমাদের চোখ খুলে দিয়েছে। কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, এটা নিশ্চিত করা দরকার। শ্রমিকদের বেতন বাড়ানো, বাসস্থান ও রান্নাঘর ইত্যাদি বিষয়ে আমরা উদ্যোগ নেব।

সোশ্যালিস্ট লেবার ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন বলেছেন, রানা প্লাজা দুর্ঘটনা ঘটেছিল কারণ সেখানে নিরাপত্তার কোনো বালাই ছিল না। দুর্ঘটনার শিকার শ্রমিকরা এখনও কাজে ফিরতে পারছেন না।

সর্বশেষ - জাতীয়