রাণীনগরে হাটের সরকারি জায়গা দখল করে দোকান নির্মাণের অভিযোগ

রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি:

নওগাঁর রাণীনগরে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও’র) নাম ভাঙিয়ে সরকারি হাটের প্রায় ৪ শতক জায়গা দখল করে অবৈধভাবে দু’টি দোকান ঘর নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালী দুই ধান ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। আর সরকারি জায়গার ওপর এসব দোকান ঘর নির্মাণে সহযোগীতা করে আসছেন হাট কমিটির প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। উপজেলার কালীগ্রাম ইউপির বেলঘড়িয়া হাটে এ দোকান ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার বেলঘড়িয়া বাজারের মেইন রাস্তার পাশে সরকারি হাটের জায়গা রয়েছে। ওই জায়গায় প্রতি শনিবার ও মঙ্গলবার সপ্তাহে দুইদিন সেখানে হাট বসে। হাটে এলাকার ব্যবসায়ীরা সেখানে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করে আসছেন। কিন্তু হঠাৎ করে গত কয়েকদিন আগে থেকে বেলঘড়িয়া গ্রামের ধান ব্যবসায়ী জনাব আলী ও গৌউরদিঘী গ্রামের চিত্ত চন্দ্র হাটের সরকারি প্রায় ৪ শতক জায়গা অবৈধভাবে দখল করে দোকান ঘর নির্মাণের কাজ করছেন। বর্তমানে তারা দু’জনে ওই জায়গার ওপরে আরসিসি পিলার স্থাপন করে ইটের দু’টি বড় দোকান ঘর নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এমনিক দোকান নির্মাণকারীরা হাটের ওই জায়গার সাথে সরকারি খাস পুকুরেরও কিছু জায়গা অবৈধভাবে দখলে নিয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, হাট-বাজার কমিটির প্রভাবশালী কয়েকজন ব্যক্তির ইন্দনে ও সহযোগীতায় সরকারি হাটের ওই জায়গা দখল করে দুই ব্যবসায়ী দোকান ঘরের নির্মাণ কাজ করেছে। আর হাট কমিটি এবং ওই দুই ব্যবসায়ী ইউএনও অনুমতি দিয়েছে বলে নাম ভাঙাচ্ছে। তাই প্রভাবশালীদের ভয়ে স্থানীয়রা বাধা দিতে পারছে না।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে দোকান ঘর নির্মাণকারী জনাব আলী বলেন, হাট কমিটির লোকজন জায়গা দিয়েছেন। তাই সেখানে নিজ খরচে দোকান ঘর করছি। অপর দোকান নির্মাণকারী চিত্ত চন্দ্র বলেন, অনুমতি নিয়েই সেখানে দোকান ঘর করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন তিনি।

সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বেলঘড়িয়া হাট-বাজার কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম বলেন, বাজারে কয়েকটা ধানের আড়ত রয়েছে। সেই আড়তগুলো মূল রাস্তায় হওয়ায় যানবাহন ও জনসাধারণের চলাচলের ভোগান্তি হয়। সে কারণে হাটের ফাঁকা জায়গাতে ধান ব্যবসায়ীদের জন্য ঘর করার অনুমতির জন্য ইউএনওকে অনুরোধ জানানো হয়েছিল। ইউএনও সাহেব মৌখিক অনুমতি দিয়েছে। সেজন্যই সেখানে ধান ব্যবসায়ীরা দোকান ঘর নির্মাণ করছেন।

এ ব্যাপারে রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহাদাত হুসেইন বলেন, হাটের জায়গায় দোকান ঘর নির্মাণের জন্য কাউকে অনুমতি দেওয়া হয়নি। ঘটনাটি জানার পর দোকান ঘর নির্মাণের কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। হাটের জায়গায় অবৈধ দোকান ঘর নির্মাণকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এস/আই