শুক্রবার , ২৯ নভেম্বর ২০১৯ | ১২ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

রাজশাহীর বাজারে শীতকালীন সবজির আগমন হলেও, দামের কোন পরিবর্তন নেই 

Paris
নভেম্বর ২৯, ২০১৯ ৬:৪৭ অপরাহ্ণ

সজল ইসলাম:

রাজশাহীর বাজারে উঠতে শুরু করেছে দেশীয় নতুন পেঁয়াজ। তবে দাম না কমায় হতাশ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। তবে টিসিবি’র পেয়াঁজ আসায় কিছুটা স্বস্তি নামে ক্রেতাসাধারণের মনে, কিন্তু তাতেও ছিল অপেক্ষার লম্বা লাইন।

তাই ক্রয় ক্ষমতার বাইরে বেশি দামে পেয়াঁজ কিনতে হচ্ছে নগরবাসীকে। আর গত দুনির মতোই দামের প্রভাব ধরে রেখেছে পড়েছে কাঁচা সবজির বাজারে। শীতকালীন সবজির আগমনে ঘটেছে ঠিকই কিন্তু দামের কোন পরিবর্তন হয়নি।

আজ শৃুক্রবার সকালে রাজশাহীর বিভিন্ন বাজার পরিদর্শন করে দেখা যায়, বাজারে শিম, ফুলকপি, বাধাকপি,পালংশাকসহ বিভিন্ন শীতকালীন সবজির আমদানি হয়েছে। সাধারণত এসব সবজি নগরীর বাইরে বিভিন্ন এলাকা থেকেই বাজারজাত করা হয়। তবে নতুন সবজি বাজারে উঠলেই তা অতিরিক্ত দামে বিক্রি করেন কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা।

এর ফল স্বরুপ বাজারে বর্তমানে প্রতি কেজি মূলা ২০ থেকে ২৫ টাকা, বাধাকপি ৩০থেকে ৩৫ টাকা, ফুলকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বেগুন ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, শিম ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, করলা ৭৫থেকে ৮০ টাকা, নতুন লাল আলু ৮০ থেকে ৯০ টাকা, ধনেপাতা ৬০ থেকে ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যা সাধারণ ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে যাবার উপক্রম।

এছাড়া, গাজর ৪৫ থেকে ৫০ টাকা টমেটো ৭০ থেকে ৮০ টাকা, শসা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০থেকে ৪৫ টাকা, পেঁপে ১৮থেকে ২০ টাকা, মরিচ ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, সাদা আলু ৪০থেকে ৪৫ টাকা, ঢেঁড়স ২৫ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

বিক্রেতারা জানান, শীতের সবজিগুলো বাজারজাত হতে সময় লাগে যার কারণে বেশি দাম দিয়ে সবজি কিনে বিক্রি করতে হয়ে। আড়তদাররা যে দরে পাইকারী বিক্রি করে তাতে লাভের অংশ কম হয়ে যায়। যার কারণে ক্রেতাদের কাছে দাম বেশিই মনে হয়।

একই কথা জানান আড়তদারেরা। তাদের মতে শীতকালীন সবজি ধীরে ধীরে বাজারে আসতে থাকায় দাম বেশি থাকে। তবে কিছুদিনের মধ্যে কাচা সবজির দাম কমে আসবে বলে জানান তারা।

বাজারে বর্তমানে দেশি পেঁয়াজের দাম ২১০ থেকে ২৩০ টাকা। ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকায়। রসুন ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা এবং আদা বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়।

এদিকে বাজারে মাছের বিক্রিয় কম হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। শীতের সময়ে মাছের যোগান ও চাহিদা দুটোই কম থাকে। যার কারণে মাছের বাজারে ধস নামতে শুরু করেছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। তবে ব্যবসায়ীদের কথা অনুসারে দামের কোন পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়নি মাছের বাজারে।

মাছ ব্যবসায়ি রমজান আলীর সাথে কথা হলে তিনি জানান, বর্তমানে রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা দরে। এছাড়াও বোয়াল ২০০ থেকে ২২০ টাকা,বড় চিংড়ি মাছ ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকা, মাঝারি ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, চিতল ৩০০ থেকে ৩৩০ টাকা, বাসপাতা ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকা, নাইলোটিকা ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা এবং গুচি মাছ বিক্রি হচ্ছে ৪০০থেকে ৫০০ টাকা মিড়কা ১৩০ থেকে ৩৫ টাকা, মিগেল ১৮০ থেকে ১৯০টাকা, বাটা ২০০ থেকে ২১০টাকা, কই ১৬০ টাকা, সিং ৪৪০ থেকে ৪৫০ টাকা শোইল ৪০০ টাকা, গ্রাস কাপ ১৮০ টাকা, সরল পুঁটি ৬০০ টাকা দরে।

বাজারে বর্তমানে দেশি মুরগি ৩৫০ টাকা, ব্রয়লার মুরগী ১২০,  সোনালি ২২০ টাকা, লিয়ার ১৬০ টাকা হাঁস ২৭০ টাকা, রাজহাঁস ৩৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এদিকে গরুর মাংস প্রতি কেজি ৫২০ টাকা এবং খাসির মাংস ৭২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

আবদুল মান্নান স্টোরের মালিক মান্নান জানান, বর্তমানে আতব চাউল ৯৫ টাকা, মিনিকেট ৫৫ টাকা, আঠাশ ৪৫ টাকায়, জিরাশাল ৫২টাকা, বাসমতি ৬০ টাকা, পায়জাম ৬০ টাকা, নাজিরশাল ৬০ টাকা কাটারি ভোগ ৭৫ টাকা, কাজল লতা ৫৫ টাকা, শরনা ৬২ টাকা, কালজিরা ৮৫ টাকা, চিনাগুড়া ৯০ টাকা, রাধনী ৮০ টাকা, কাটারি আতপ ৭০ টাকা, মোটা আতপ ৬০ টাকা, পায়জাম আতপ ৬০ টাকা, পারিজা ৬৫ টাকা, আউশ ৪৫ টাকা, বালাম ৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে দেশি মশুর ডাউল ৬০টাকা, মুগের ডাউল ১২৫ টাকা,বুটের ডাউল ৮০ টাকা,মাস কালায়ের ডাউল ১০০ টাকা, সোনা মুগ ডাল ১৪০ টাকা ছোলা ৭০ টাকা, মটর ৪০ টাকা, সয়াবিন তেল ৮০ টাকা, সরিষা ১২০ টাকা, প্যাকেট আটা ৩০ টাকা জিরা ৩৫০ টাকা, ছোলা ৭০ টাকায়, চিনি ৫৮ টাকায় ও লবন বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৩০ টাকা দরে।

স/অ

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর