নিজেস্ব প্রতিবেদক :
আজ সোমবার শ্রাবণ মাসের ২৩তম দিন। তীব্র তাপদাহের পর শ্রাবণের শেষ সপ্তাহে এলো স্বস্তির বৃষ্টি। পুরো আষাঢ় চলে গেছে অনাবৃষ্টিতে। অন্য বছরের তুলনায় এবার বর্ষাকাল এসেছে অনেকটাই দেরিতে। বলাই যায়, এই বৃষ্টি যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে উত্তর আঞ্চলের মানুষেরা।
এ দিকে হঠাৎ গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছাড়া মানুষকে বাইরে বের হতে দেখা যায়নি। সড়কগুলোতে যানবাহনের চাপ তেমন একটা নেই। টানা বৃষ্টিতে শ্রমজীবীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। তারপরও কর্মমুখী মানুষের পথচলা থেমে নেই। পথচারীরা ছাতা নিয়ে, রেইনকোর্ট পরে কর্মব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে। আর রিকশাচালকসহ শ্রমজীবীরা বৃষ্টিতে ভিজেই কাজ করতে হয়েছে। রাস্তার পাশে সবজি বিক্রেতাও ছাতা নিয়ে ব্যস্ত জীবিকার তাগিদে।
রাজশাহী শহরে রিকশা চালক মতিউর বলেন, হঠাৎ করে বৃষ্টির কারণে মানুষ ঘর থেকে কম বাহির হচ্ছে। এতে ভাড়া নেই বলেলই চলে। আমরা দিন এনে দিন খাওয়া মানুষ। এই ভাবে চললে খাবো কী, আর সংসারি বা চালাবো কী করে?
সবজী বিক্রেতা কবির বলেন, আমি কাঁচা সবজি বিক্রি করি। সকাল থেকে বৃষ্টি হওয়ায় বাজারে ক্রেতার সংখ্যা অনেকটায় কম। এমন অবস্থা থাকলে অনেক সবজি নষ্ট হয়ে যাবে এতে অনেক ক্ষতি হবে আমাদের।
আবহওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সাগরে নম্নিচাপে জলীয়বাষ্প হয়ে আকাশে মঘে জমা হয়ে বৃষ্টি নামছে। বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। এ অবস্থা আরও দুই তিন দিন স্থায়ি হতে পারে।