শনিবার , ১০ আগস্ট ২০১৯ | ১৩ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

রাজশাহীতে জমজমাট পশুর হাট

Paris
আগস্ট ১০, ২০১৯ ৯:৫৯ পূর্বাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

৫৫ হাজার টাকায় গরু কিনে বেশ খুশি শামসুল ইসলাম। তিনি বলেন, সিটি হাট, কাটাখালী, বানেশ্বর ও নওহাটা ঘুরেছি, তবুও মেলেনি গরু। রাজশাহীর সিটি হাটে গরু কিনেছেন তিনি। তিনি বলেন, ঈদ হতে মাঝে এক- দু’দিন বাকি। তাই দ্রুত গরু কিনতে না পারলে, হুড়াহুড়ি লেগে যাবে শেষের দিকে। তাই পশু হাটে এসেছিলাম ছেলে বাপ্পিকে নিয়ে। ছেলে ও তার পছন্দ এবং দামে মেলায় কিনেছেন গরুটি।

আজ শনিবার সরকারি ছুটির প্রথম দিন। ছুটির দিনে বেশ জমে উঠেছিলো রাজশাহীর পশু হাটগুলো। হাটে ক্রেতা সমাগম প্রচুর। দুপুরের পর থেকেই শুরু হয় রমরমা কেনা-বেচা। পশুর আমদানি বেশি থাকায় দামও নাগালের মধ্যে ছিলো বলে জানিয়েছেন ক্রেতা বিক্রেতারা।

বিক্রেতারা বলছেন, এবার ঈদুল আযহা মৌসুমের শুরু থেকেই ক্রেতাদের উপস্থিতি তুলনামূলকভাবে কম ছিলো হাটে। তবে ভারতীয় গরু বাজারে না থাকায় দাম একটু বেশি। খামারিরা বেশ খুশি হলেও ক্রেতারা বলছে হাটে তুলনামূলক পশুর দাম বেশি। তবে দেশি গরু সুস্থ-সবল, দাম বেশিতে তেমন প্রভাব পড়ছে না বলে জানাচ্ছেন ক্রেতারা।

সাধারণ ক্রেতাই শুধু নয়, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকাররা এসে গরু কিনছেন রাজশাহী অঞ্চলের বিভিন্ন পশু হাট থেকে। ইজারাদাররা বলছেন, কয়েকদিন থেকে প্রতিদিন হাট বসছে ঈদ উপলক্ষে। প্রতিদিন হাট থাকায় ক্রেতাদের সুবিধা হচ্ছে পশু কিনতে। পরিবহণেও সুবিধা হচ্ছে।

সরেজমিনে সিটি পশু হাট ঘুরে দেখা গেছে, হাটে পর্যাপ্ত দেশি গরু ছিল। চাহিদার শীর্ষে ছোট আকারের গরুর। বেশির ভাগ ক্রেতা নিজে কোরবানি দেয়ার জন্য ছোট গরু পছন্দ করছেন। এছাড়া দুই থেকে তিনজন মিলে কোরবানি দেবেন তারাও মাঝারি সাইজের গরু কিনছেন।

ক্রেতা আশরাফুল ইসলাম বলেন, হাটে ছোট গরুর চাহিদা বেশি। তাই বিক্রেতারা দামে ছাড় দিচ্ছে না। ছোট গরুর দাম বেশি হাকাচ্ছে বিক্রেতারা। আর বিক্রেতারা বলছেন, কোরবানির গরু একটু বেশি দাম পড়ে। দাম নিয়ে তেমন সমস্যা হয় না। পছন্দের উপরে বিক্রি হয় কোরবানির গরু।

কোরবানির গরু কিনতে আসা সাইফুল ইসলাম বলেন, হাটে গরু আছে। তবে ক্রেতার সংখ্যা কম। তাই দরদাম করা সুবিধা হচ্ছে। হাট ঘুরে আরামে গরু কেনা যাচ্ছে। তিনি জানান, নগরীর উপকণ্ঠ খড়খড়ি এলাকা থেকে তারা আটজন এসেছেন। তাদের উদ্দেশ্যে দুইটি গরু কেনা। ১ লাখ ১৭ হাজার টাকায় একটি গরু কিনেছেন, দামে হলে আরেকটি কিনবেন।

গরু ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম বলেন, হাটে পর্যপ্ত দেশি গরু রয়েছে। তবে ক্রেতা কম। ক্রেতা কম থাকায় কম দামে বিক্রি হচ্ছে গরু। আবার কেউ কেউ বিক্রি করছেন না, শনিবার ও রোববার হাটের কথা ভেবে।

রাজশাহী সিটি হাটের ইজারাদার আতিকুর রহমান কালু জানান, হাটে দেশি গরুতে ভরা। দেশি গরুর চাহিদাও বেশি। বিক্রি ভালো হচ্ছে। যদিও হাটবার ছিলো না। তার পরেও ক্রেতা-বিক্রেতায় ভরা ছিলো হাট।

 

স/আ

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর