ভ্রাম্যমাণ আদালত নিয়ে হাইকোর্টের রায় স্থগিত

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক: নির্বাহী হাকিম (ম্যাজিস্ট্রেট) দিয়ে মোবাইল কোর্ট বা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত। একই সঙ্গে এ বিষয়ে ১৮ মে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।

আজ রোববার হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের শুনানি শেষে চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী এ আদেশ দেন।

রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু শুনানি করেন। অন্যদিকে আদালতে রিটকারীর পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজিম।

এর আগে এ-সংক্রান্ত আলাদা তিনটি রিটের শুনানি শেষে গত ১১ মে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় দেন। রায়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে মোবাইল কোর্ট বা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা অবৈধ ঘোষণা করা হয়। ওই আদেশের বিরুদ্ধে আজ সকালে চেম্বার কোর্টে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

হাইকোর্টের রায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত আইন (মোবাইল কোর্ট অ্যাক্ট, ২০০৯) কয়েকটি ধারা ও উপধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আলাদা তিনটি রিট আবেদনের শুনানি শেষে ২০১১ সালে এ বিষয়ে রুল জারি করা হয়েছিল। চলতি বছর ১১ মে রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে নির্বাহী হাকিম কর্তৃক রায় ঘোষণাকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, এসথেটিক প্রপার্টিজ ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান খান ভবন নির্মাণ আইনের কয়েকটি ধারা ও উপধারা চ্যালেঞ্জ করে ২০১১ সালের ১১ অক্টোবর হাইকোর্টে রিট করেন। ওই রিটের ওপর প্রাথমিক শুনানি শেষে সে বছরের ১৯ অক্টোবর হাইকোর্ট রুল জারি করেন। রুলে হাকিম দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাসহ আইনটির কয়েকটি বিধান কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছিল।

ভবন নির্মাণ আইনের কয়েকটি ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০১১ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর টয়েনবি সার্কুলার রোডে অবস্থিত এক বাড়ির মালিক মজিবুর রহমানকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ৩০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন নির্বাহী হাকিম। এর পর আইনের বিধান ও অর্থ ফেরতের নির্দেশনা চেয়ে ওই বছরের ১১ ডিসেম্বর রিট করেন মজিবুর। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ওই দিন হাইকোর্ট রুলসহ সাজার আদেশ স্থগিত করেন।

এ ছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালত আইনের কয়েকটি বিধানের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০১২ সালে ২ মে দিনাজপুরের বেকারি মালিকদের পক্ষে মো. সাইফুল্লাহসহ ১৭ জন আরেকটি রিট করেন। এতে বেকারিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার ক্ষেত্রে খাদ্য বিশেষজ্ঞ ও পরীক্ষার জন্য যন্ত্রপাতি সঙ্গে রেখে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নীতিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা চাওয়া হয়। শুনানি নিয়ে ওই বছরের ৮ মে হাইকোর্ট রুলসহ অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দেন। এসব রুলের ওপর দীর্ঘদিন শুনানি শেষে গত ১১ মে রায় ঘোষণা করা হয়।  সূত্র: এনটিভি