প্রেমের টানে দুই সন্তানের জননী দিনাজপুর থেকে পুঠিয়ায়

মইদুল ইসলাম মধু, পুঠিয়া: প্রেম মানে না কোনো বাধা। কী সময়, কী দূরুত্ব। মানে না বয়স, জাতী, ধর্ম ও বর্ণ। তাইতো অদেখা প্রেমিকের ভালোবাসার টানে স্বামী সন্তান ফেলে দিনাজপুর থেকে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় এসেছেন দুই সন্তানের জননী ও সেনা সৈনিকের স্ত্রী জেসমিন বেগম (২৬)।

জেসমিন বেগম দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলার গোপাল বাঙ্গালপুর গ্রামের সেনাবাহিনীর সৈনিক পদে কর্মরত জহির আলীর স্ত্রী। তার ৮ম শ্রেনিতে পরুয়া ও দুই বছর বয়েসি দুটি ছেলে সন্তানও রয়েছে। প্রেমিক রাজশাহী জেলার দূর্গাপুর উপজেলার গোলাবাড়ি গ্রামের সনাতন মাঝির ছেলে রুবেল মাঝি (২৭) সেও বিবাহীত সন্তানের পিতা।

থানা সুত্রে জানা যায়, গত শনিবার (১৩ মে) রাত ১১ টার দিকে পুঠিয়া পল্লী বিদ্যুৎ সংলগ্ন স্থানে দুজন সন্দেহজনক ভাবে চলা ফেরা করায় স্থানীয়রা জেসমিন বেগম কে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাদের সব ঘটনা খুলে বলেন। পরে তারা প্রেমিক রুবেল মাঝি ও জেসমিন বেগমকে পুঠিয়া থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।

রবিবার সকালে থানায় কথা হয় জেসমিন বেগমের সাথে তিনি জানান, প্রায় এক মাস আগে রং নাম্বারে মোবাইল ফোনে কথা বলার মাধ্যমে পরিচয় হয় রুবেল মাঝির সাথে। তারপর একে অপরকে না দেখেই দুজন দুজনকে গভীর ভাবে ভালোবাসে। ভালোবাসার সুত্র ধরেই কথা এগুতে থাকে মোবাইল ফোনে। কথা বলার একপর্যায়ে রুবেল মাঝি জেসমিন বেগমকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিলে ছেলে সন্তান স্বামীকে ফেলে গত শনিবার দুপুর পর দিনাজপুর থেকে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে রওনা হয় জেসমিন বেগম।

রাত ১০ টার দিকে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় পৌছলে  দুজনেরই দীর্ঘ একমাসের অদেখা প্রেমের প্রথম সাক্ষাত হয়। পরে জেসমিন বেগম তাকে রুবেলের বাসায় নিয়ে যাওয়ার কথা বললে ঘন্টা ব্যাপি বিভিন্ন তাল বাহানা শুরু করে রুবেল মাঝি। তাদের কথা বার্তা চলা ফেরা সন্দেহজনক হওয়ায় স্থানীয়রা জেসমিন বেগমকে জিজ্ঞাসা করলে পুরো ঘটনা তাদের কাছে খুলে বলে জেসমিন বেগম। পরে স্থানীয় জনতার কাছে রুবেল মাঝিও স্ত্রী সন্তানের কথা স্বীকার করলে দুজনকেই পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।

এব্যপারে পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান জানান, রাতে দুজনকে স্থানীয়রা আটক করে পুলিশের কাছে তুলে দেয়। দুজনের পরিবারের কাছে খবর দেওয়া হয়েছে। মেয়েটির পরিবারের লোকজন এলে জেসমিন বেগমকে তার পরিবারের কাছে তুলে দেওয়া হবে। এবং রুবেল মাঝিকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করা হবে।

স/আর