ভোলাহাটে সপ্তাহ পার হলেও মেলেনি শতাধীক নমুনা পরীক্ষার ফল

বি.এম রুবেল আহমেদ, ভোলাহাট:
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ২ জনসহ ৩ জন করোনা পজেটিভ হয় ৬ মে। করোনা পজেটিভের খবরে ভোলাহাট উপজেলা জুড়ে শুরু হয় তোলপাড়।
আলোচনায় আসে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ও একজন আনসারের করোনা পজেটিভ নিয়ে। তাদের করোনা পজেটিভ হওয়ায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত মেডিকেল অফিসারসহ সকল কর্মকর্তা কর্মচারী ও স্বাস্থ্যকর্মীরা আতঙ্কে পড়ে যান।
কারণ আক্রান্তরা যেহেতু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত সেহেতু সহকর্মী হিসেবে অন্য সহকর্মীরা তাদের সাথে হাত মেলানো কিংবা পাশাপাশি থাকা এ নিয়ে পড়েন বেশ চিন্তায়। এছাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অন্য কেউ আক্রান্ত কিনা এনিয়ে অঘোষিত লকডাউনে পরিনত হয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।
প্রেক্ষিতে ৭ মে তড়িঘড়ি ভোলাহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক, উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীসহ কর্মকর্তা কর্মচারী মোট ৪৭ জনের নমূনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ল্যাবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কারো রিপোর্ট না আসায় হতাশায় ভুগছেন তারা। ফলে এক সপ্তাহ পার হলেও উপজেলায় মেলেনি শতাধিক নমুনার ফল।
এছাড়া পরদিন ৮ মে ভোলাহাট উপজেলা প্রশাসন ও ভোলাহাট থানায় কর্মরতদের প্রায় ৬৩ জনের নমূনা সংগ্রহ করা হলেও নমূনা রির্পোট এখনো আলোর মুখ দেখেনি। করোনা যখন ভয়াবহ অবস্থা তখন গুরুত্বপূর্ণ জায়গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরতরা যখন রিপোর্টের জন্য প্রহর গুণছেল।
সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগ ধীরে চল নীতিতে যদি চলতে থাকে এর দায় কে নিবে? এমন প্রশ্ন সকল নাগরিকের। দ্রুত এ ধরনের অবহেলা থেকে সরে যথাযথ দায়িত্ব পালনের দাবী ভোলাহাটবাসির।
এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা আব্দুল হামিদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, রাজশাহী ল্যাবে নমূনার লক্ষ্যমাত্রা বেশী হওয়ায় অতিরিক্ত নমূনা ঢাকায় প্রেরেণ করার কারণে ফলাফল আসতে দেরী হচ্ছে। তবে ২/৩ দিনের মধ্যে ফলাফল আসার সম্ভাবনা ব্যক্ত করেন।
এদিকে ৬ মে করোন পজেটিভ ৩জন ভালো আছেন বলে জানান। তবে উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার আইশোলেসনে রয়েছে বলেও নিশ্চিত করেন।