বড়দিনের পর কেমন হবে প্রতিবেলার খাবার?

করোনার মধ্যেও সীমিত পরিসরে উদযাপিত হয়েছে খ্রীষ্টান ধর্মাবলম্বীদের বড়দিন। আর উৎসব মানেই ডায়েট ভুলে খাওয়া দাওয়া।  উৎসবের সময় স্বাস্থ্যকর খাবারের বাইরে গিয়ে  একটু আধটু খাবার সবাই খেয়ে থাকে। ক্রিসমাসের সময় কেক, অ্যালকোহল জাতীয় খাবার খাওয়ার পর পুরোনো ট্র্যাকে ফিরে আসা দরকার। অতিরিক্ত ক্যালোরির যে খাবার খাওয়া হয়েছে তার জন্য  খাবারের ভারসাম্য ফিরিয়ে আনা দরকার।

পর্যাপ্ত পানি:

প্রতিদিন আট গ্লাস পানি পান করুন যা শরীর থেকে টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করবে। আট গ্লাস পানি যদি বেশি মনে হয় তবে শসা,পুদিনা পাতা ও লেবু দিয়ে ডিটক্স ওয়াটার খেতে পারেন।

বাসার খাবার:

উৎসবের ভারি খাওয়া দাওয়ার পর কমপক্ষে একমাস বাসার খাবার খাওয়া উচিত।  বাসায় বানানো খাবারগুলোতে ক্যালোরি নিয়ন্ত্রণ করা যায়।  বাসায় বানানো ডাল, সালাদ, গ্রিলড করা খাবার স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী।

মিষ্টি আলু:

মিষ্টি আলু সাধারণ আলুর বিকল্প হিসেবে কাজ করে। মিষ্টি আলুতে প্রচুর পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন থাকে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং বিপাকের হার বাড়ানোর সময় শরীরকে প্রয়োজনীয় শক্তি দেয়।

চিনি ছাড়া দই:

দুপুরের খাবারের পর বা সন্ধ্যার স্ন্যাক্স হিসেবে চিনি ছাড়া দই খেতে পারেন। দইয়ের সুবিধা হলো এটি শরীরে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি, বি-৬, বি-১২, রিবোফ্লোবিন, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম  সরবরাহ করে।

চর্বিযুক্ত মাছ:

স্যালমন, ম্যাকেরেল এবং সার্ডিন্সের মতো মাছগুলোতে ভাল চর্বি থাকে যা প্রদাহ হ্রাস করে এবং প্রতিরোধ ক্ষমতা কার্যকর করে। এগুলোতে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে যা বিপাক বাড়াতে সহায়তা করে।

শাক সবজি:

ব্রোকলি, মূলা, পালংশাক, বিটরুট এবং গাজরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। এছাড়া এই সবজিগুলো হজমে সহায়তা করে এবং ডি টক্সিফাইং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে।

মৌসুমি ফল:

বেরি, পেয়ারা, কমলা, আনারস হ’ল ভিটামিনের দুর্দান্ত উত্স এবং শীত মৌসুমে তাপ উত্পন্ন করে। এগুলো অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ এবং প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।

উৎসবের পরে আপনার ডায়েটে কিছু স্বাস্থ্যকর খাবার যোগ করুন যার ফলে শরীর খুব সহজে সহজেই ব্যালেন্স হয়ে যাবে।

সূত্র: দ্যা টাইমস অব ইন্ডিয়া