বিএনপির আন্দোলনের ডাক যথা সময়ে আসবে : প্রিন্স

বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, নিশিরাতের সরকার কর্তৃত্ববাদী শাসন দীর্ঘায়িত করতে রাজনীতির পথকে সঙ্কুচিত করে গণতন্ত্রকে কবরস্থ করছে। বিরোধী দল তথা বিএনপির জন্য রাজনীতিকে কঠিনতর করতে যার পর নাই ষড়যন্ত্র করছে।

আজ শনিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে নেত্রকোনা পৌর বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি একথা বলেন।

নেত্রকোনা পৌর বিএনপির আহ্বায়ক আবদুল ওয়াহাব ভূইয়ার সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব এস এম মোয়াজ্জেম হোসেনের সঞ্চালনায় নেত্রকোনার জয়নগরে জেলা বিএনপির আহ্বায়কের বাসভবন প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত নেত্রকোনা পৌর বিএনপির সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. ওয়ারেস আলী মামুন।

সম্মেলন উদ্বোধন করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা.আনোয়ারুল হক। বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য অ্যাড. আরিফা জেসমিন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ড. রফিকুল ইসলাম হিলালী, যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাড. মাহফুজুল হক, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের তালুকদার, যুগ্ম আহ্বায়ক মজিবুর রহমান, এস এম মনিরুজ্জামান দুদু, জেলা কৃষক দলের সভাপতি সালাহউদ্দিন খান মিল্কী, যুবদলের সভাপতি মশিউর রহমান মশু, তাঁতী দলের সভাপতি আজিজুল হক, শ্রমিক দলের আহ্বায়ক আতিকুর রেজা খান, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহ, মুন্না, ছাত্রদলের সভাপতি ফরিদ হোসেন, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল ভৌমিকসহ পৌর বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

অ্যাড. ওয়ারেস আলী মামুন বলেন, মিড নাইট সরকার দেশ পরিচালনায় ব্যর্থ হয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম আকাশচুম্বী। সরকারের ব্যর্থতায় জনজীবন বিপন্ন। এই অবস্থা আর চলতে পারে না। তিনি বলেন, যতই বাঁধা আসুক, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশিত পথে দলকে সুসংগঠিত করা হবে।

সম্মেলনে এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, সরকার বিএনপিকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলায় ভয় পায় বলে প্রশাসন ও পুলিশকে অপব্যবহার করে বিএনপির রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড বাধাগ্রস্ত, নিয়ন্ত্রণ ও নস্যাৎ করতে চায়।

নেত্রকোনায় পৌর সম্মেলন উন্মুক্ত স্থানে করতে না দেওয়ায় ও কেন্দুয়া উপজেলা ও পৌর বিএনপির সম্মেলন শেষ মুহূর্তে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার তীব্র সমালোচনা করে তিনি বলেন, এসব করে জনবিচ্ছিন্ন সরকার নিজেদেরকে জনরোষ থেকে রক্ষা করতে পারবে না। জনগণ জেগে উঠছে, আন্দোলনের ডাক যথা সময়ে আসবে। নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থেকে সর্বাত্মক আন্দোলনের জন্য পাড়ায় – মহল্লায় প্রস্তুতি নিতে হবে। সরকার যদি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি মেনে না নেয় তাহলে রাজপথেই ফয়সালা হবে। জনগণ পরিবর্তন চায়। জনগণের আকাঙ্খিত পরিবর্তন আনতে বিএনপিকেই মূল দায়িত্ব পালন করতে হবে।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ