বন্ধু নির্বাচনে সতর্কতা কেনো জরুরী?

ইনস্টাগ্রামে ১০.৩ মিলিয়ন ফলোয়ার। ফেসবুকে ১.৩ মিলিয়ন। ১৪ জুন শনিবার রাতে ফ্রেন্ডস, ফলোয়াররা কেউ ছিল না ওঁর ঘরে। সুশান্ত সিং রাজপুত একাই সিলিং ফ্যানের দিকে তাকিয়ে আকাশ-পাতাল ভাবছিলেন। ঝড় চলছিল তাঁর মনে। বলিউড তারকা যখন সিলিং ফ্যানে দড়ি বেঁধে মৃত্যুর তোড়জোড় করছিলেন, তখনও হয়তো লাইক-কমেন্ট পড়ছিল তাঁর কোনও ছবিতে!

জানি না কেন আত্মহত্যার পথ বেঁছে নিতে হল সুশান্তকে। ভার্চুয়াল পৃথিবীতে লক্ষ ‘বন্ধু’ থাকলে বাস্তবের দুনিয়ায় তিনি হয়তো একদম একা ছিলেন। বিলকুল একা। ইসস, যদি একজন বন্ধুও ওঁর থাকতো…। লাইক, কমেন্টের পরিসংখ্যানের বাইরে মনের হদিস রাখা কয়েকজন বন্ধুর শুধু দরকার ছিল মানুষটার।

ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামে ‘বন্ধু’ অথবা অনুগামী তো সবারই থাকে। কিন্তু জীবনকে উদযাপন করার জন্য যে প্রয়োজন বন্ধুর মতো বন্ধু। রক্তমাংসের। যাকে ছোঁয়া যায়। ওঁর জীবনে এমন একজন বন্ধুরই হয়তো অভাব ছিল।

শনিবার রাতে দড়িটা গলায় পরার আগে যাকে সুশান্ত ফোন করে বলতে পারতেন, ভাই এখুনি চলে আয় আমার বাড়ি। খুব মন খারাপ লাগছে।
কেনও যে এমনটা হল না!

সুশান্ত চলে গেছেন, তার হিসেব তিনিই দেবেন।
আমারাও একা হয়ে যাচ্ছিনাতো? নিউ নরমালের জামানায় আমরা যেন অ্যাবনরমাল হয়ে না উঠি। প্রকৃত বন্ধু নির্বাচনের ক্ষেত্রে আমরা যেন চুজি হই। যাদের সুখে দুখে পাশে পাওয়া যায়, যারা দয়া আর মমতার ছায়া বিছিয়ে দেয় নিয়ত, যাদের সাথে দেখা হলে মহান আল্লাহর কথা স্মরনে আসে , যারা সব সময় আমাদের দোষ না খুঁজে বরং সংশোধনের রাস্তা দেখায় -তাদের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বের বন্ধন অটুট থাকুক এ জীবনের সীমা পরিসীমা পেরেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস অবধি।

আরিফ বিল্লাহ

ব্যাংক কর্মকর্তা