গরমে কাঁচা আমের শরবত

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক :

‘‘ঝড় এলো এলো ঝড়, আম পড় আম পড়, কাঁচা আম ডাঁসা আম, টক টক মিষ্টি, এই যা…এলো বুঝি বৃষ্টি…’’

এই গরমে ঝড়-বৃষ্টির দেখা না পেলেও কাঁচা আমের দেখা ঠিকই পাওয়া যায়। তাই প্রাণে প্রশান্তি পেতে শীতল সজীব মজাদার কাঁচা আমের শরবত চুমুকে চুমুকে খাওয়া যেতে পারে। রোদ থেকে ফিরে এক গ্লাস কাঁচা আমের শরবত, আহা- কী শান্তি!

কোল্ড ড্রিঙ্কসের বদলে খান কাঁচা আমের শরবত, এই গরমে লু লাগবে না, প্রাণ জুড়োবে আরামে।

মাথার উপর গণগণে রোদ যেন শরীরের সমস্ত প্রাণশক্তি শুষে নিঃশেষ করে দিচ্ছে। বিরক্তিকর ঘামের সঙ্গে ঘনঘন পিপাসা পাওয়া এখন খুবই স্বাভাবিক। সাময়িক স্বস্তি পেতে অনেকেই বরফ ঠাণ্ডা কোল্ড ড্রিঙ্কস খাচ্ছি যা খুবই অস্বাস্থ্যকর। এর বদলে কাঁচা আম বা আমপোড়ার শরবত শরীর জুড়িয়ে দেবে।

গ্রীষ্মের তীব্র দাবদাহে কিছুটা স্বস্তি পেতে আমের শরবত, চাটনি খেতে পছন্দ করি অনেকেই। প্রায় সবার  অতিপ্রিয় এই কাঁচা আম শুধু স্বাদ নয়, শরীরের জন্যও ভীষণ উপকারি।

কাঁচা আমে থাকে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ‘সি’। আর ভিটামিন সি হলো যে কোনও সংক্রমণ থেকে ঢালের মতো রক্ষা করা এক হাতিয়ার। কাঁচা আম চোখের জন্য খুবই ভাল। কাঁচা আমের শরবত চিনি, পানি, লবন দিয়ে বানিয়ে প্রতিদিন এক গ্লাস করে খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে।

কাঁচা আম খেলে রক্তনালি পরিষ্কার থাকে বলে জানান বিশেষজ্ঞরা। বদহজম কোষ্ঠকাঠিন্যসহ নানা রোগের ওষুধও বলা যেতে পারে এই সি ভিটামি কাঁচা আম-কে। শুধু তাই নয় কাঁচা আমের শরবত খেলে অনেকক্ষণ পেটভরা থাকে। হজমও ভাল হয়। কাঁচা আমে আছে পলিফেনল যা কেটে বা ছিড়ে যাওয়া ক্ষত তাড়াতাড়ি সারিয়ে তোলে।