বৃহস্পতিবার , ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ | ১২ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

প্রশ্নপত্র ফাঁস: মূল হোতাদের ধরার চেষ্টায় গোয়েন্দারা

Paris
ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৭ ১২:১৫ পূর্বাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত মূল হোতাদের ধরতে মাঠে নেমেছেন গোয়েন্দারা। প্রশ্নফাঁসে জড়িত চক্রের বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্যদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। তবে মূল হোতাদের এখনও ধরা যায়নি। গোয়েন্দারা বলছেন, গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাদের ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে।

 

গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের ধারণা, প্রশ্নপত্র ফাঁসের মূল প্রক্রিয়ার চূড়ায় রয়েছে প্রভাবশালী মহল। তবে প্রমাণ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আইনের আওতায় আনা যাবে বলে জানিয়েছেন তারা।

 

গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা প্রশ্নফাঁসের সবচেয়ে নিচের পর্যায়ে অবস্থান করেন। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে ফাঁস হওয়া প্রশ্নের কপি সংগ্রহ করেন তারা। কেউ কেউ সৌভাগ্যক্রমে বিনামূল্যে পেয়ে গেলেও বেশিরভাগকেই নির্দিষ্ট টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন কিনে নিতে হয়। যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্নপত্র বিক্রির কাজ করে বিভিন্ন ফেসবুক পেইজ, গ্রুপ বা ম্যাসেঞ্জারের অ্যাডমিনরা। আবার এই অ্যাডমিনরা যুক্ত থাকে আরও নির্ভরশীল ও ‘সিক্রেট গ্রুপে’র সঙ্গে। এই ‘সিক্রেট গ্রুপে’র সদস্যরা বেশ কয়েকটি মাধ্যমে প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করে।

 

কিছু কিছু ক্ষেত্রে পরীক্ষার প্রশ্ন কেন্দ্রগুলো থেকে ফাঁস হয়ে যায়। সেই প্রশ্নপত্র কিনে নেয় সিক্রেট গ্রুপের সদস্যরা। আবার কখনও কখনও প্রশ্ন যেখানে ছাপা হয়, সেখান থেকেও ফাঁস হয়।

 

গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের ধারণা, প্রশ্নফাঁসের পেছনে বিজি প্রেসের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা বা কর্মচারী জড়িত থাকতে পারে। গত বছর প্রশ্নফাঁসের দায়ে বিজি প্রেসের এক কর্মচারীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।

 

প্রশ্নফাঁস এড়াতে প্রতিটি পরীক্ষা শুরুর আগে সতর্ক অবস্থানে থাকছে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে পুরো প্রক্রিয়ার সঙ্গে প্রভাবশালী চক্র জড়িত থাকায় তাদের মূল জায়গায় পৌঁছাতে সময় লাগছে। তাই মূল হোতা বা প্রভাবশালী মহল এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে।

 

এ প্রসঙ্গে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার মো. শাহজাহান বলেন, ‘যারা গ্রেফতার হয়েছে, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে মূলে পৌঁছানোর চেষ্টা চলছে। এর সঙ্গে অনেকগুলো চক্র জড়িত। এরা একটা চেইনের মতো কাজ করে। তাই কোনও একটা লিংক মিস হলে মূলে পৌঁছানো কঠিন। তবে আমরা প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেফতারের মাধ্যমে প্রশ্নফাঁস সংকটের সমাধানে কাজ করে যাচ্ছি।’

 

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার আব্দুল বাতেনও আশার কথা শুনিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘সম্ভাব্য সকল স্থানে আমাদের অভিযান চলছে। মূল হোতারা যত শক্তিশালীই হোক, তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। এরই মধ্যে আমরা অনেকগুলো লেয়ার পার করেছি। আর দুইটা লেয়ার পার করতে পারলে প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের মূল হোতাদের ধরা সম্ভব হবে।’

 

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা পুরো লিংকটা ধরার চেষ্টা করছি। শুরু ও মধ্যম সারিতে যারা রয়েছে, তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এখন মূল হোতাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। আমরা সাফল্যের খুব কাছাকাছি পর্যায়ে রয়েছি। আশা করি, অচিরেই তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে।’

সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন

সর্বশেষ - অপরাধ ও দুর্নীতি