বুধবার , ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ | ৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

নজিপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ

প্রতিবেদক
নিউজ ডেস্ক
ফেব্রুয়ারি ৮, ২০১৭ ২:১৭ অপরাহ্ণ

পত্নীতলা প্রতিনিধি:
নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলা সদর নজিপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো: সামশুল হকের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে এবার ফুঁসে উঠেছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও। এ বিষয়ে মহাপরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, বাংলাদেশ, শিক্ষাভবন, ঢাকা বরাবর লিখিত স্বাক্ষরিত অভিযোগ করেছেন নওগাঁর নজিপুর পৌর মেয়রসহ পত্নীতলা উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানগণ। নানামুখী অনিয়মের অভিযোগে ওই অধ্যক্ষের দ্রুত অপসারণসহ তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করেছেন।

লিখিত অভিযোগে প্রকাশ, পরিপত্র বহির্ভূত খাত সৃষ্টি করে প্রেরণ ও যোগাযোগ খাত হতে ভ্রমণ ব্যয় বাবদ ছাত্র প্রতি ১০০ টাকা হারে প্রতি বর্ষের উচ্চ মাধ্যমিক ১ম, ২য় ডিগ্রী (পাশ) ১ম, ২য, ৩য় এবং অনার্স ১ম, ২য়, ৩য়, ৪র্থ (ফরম পূরণ ও ভর্তি সময়) অর্থ আদায় করে ঢাকা, রাজশাহী, নওগাঁ ইত্যাদি স্থানে ভ্রাম্যাণের নামে অফিস আদেশ ছাড়াই টাকা আত্মসাৎ করেছে। পরিপত্র বহির্ভূত খাত সৃষ্টি যেমন কম্পিউটার ও পাঠোন্নয়ন খাত সৃষ্টি করে সকল বিভাগে প্রতি বর্ষে পাঠ্যোন্নয়ন খাতে ২৫০ টাকা ও কম্পিউটার খাতে ১০০ টাকা আদায় করে কম্পিউটার যন্ত্রাংশ ও খন্ডকালীন শিক্ষক দেখায়ে উক্ত টাকা তুলে আত্মসাৎ করেছে।

পরিপত্রে ব্যবস্থাপনা ফি ৫০ টাকা হারে আদায়ের নির্দেশ থাকা সত্বেও পরিপত্র বহির্ভূত ভাবে সকল বর্ষের সকল শিক্ষার্থীর নিকট হতে ভর্তি ও ফরম পূরণের (২ বার) সময় ১০০ টাকা হারে আদায় করে অধ্যক্ষ ও কমিটিসহ আত্মসাৎ করিতেছে। একাদশ শ্রেণির ছাত্রীদের বেতন মওকুফ সত্বেও তাদের নিকট হতে ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে সকল ছাত্রীর নিকট হতে বেতন আদায় করে তা আত্মসাৎ করিতেছেন। প্রশংসাপত্র ফি পরিপত্রে নির্দেশ না থাকলেও রশিদ ছাড়া সকল বর্ষে ও সকল শিক্ষার্থীর নিকট হতে ১০০ টাকা হারে আদায় করে অধ্যক্ষ নিজেই আত্মসাৎ করেছে।

ডিগ্রি (পাশ) ১ম বর্ষ পরীক্ষা/১৬ইং নাম করে ২৫/০৬/২০১৬ ইং তারিখে কেন্দ্রীয় তহবিল হতে হিসাব নং ০১৮০১৩১১৭৬৩২৮৭২ চেক নং ৩২৫৫৭৫০ হতে ৬২০৫০ টাকা উত্তোলন করে কমিটি ও অধ্যক্ষ ভাগাভাগি করে নেয়। এছাড়াও ঐ একই পরীক্ষায় আইসিটি নাম দিয়ে প্রতি শিক্ষার্থীর নিকট হতে ৫০ টাকা করে উঠিয়ে ভাগাভাগি করে নেয়। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা/১৭ইং এর ফরম পূরণের সময় অনিয়মিত শিক্ষার্থীদের নিকট হতে সনদ প্রতি ১০০ টাকা ও ব্যবহারিক ফি বাবদ ২০০ টাকা হারে এবং অনিয়মিত ফি ১০০ টাকা হারে পরিপত্র বহির্ভূত ভাবে আদায় করে অধ্যক্ষ ও কমিটি ভাগাভাগি করে নেয়।

২০১৬-১৭ ইং অর্থ বছরের সরকারি বরাদ্দ হতে সমুদয় টাকা ভূয়া ভাউচার দেখিয়ে ট্রেজারি থেকে লাখ লাখ টাকা উত্তোলন করে টেন্ডার কমিটি ও অধ্যক্ষ আত্মসাৎ করে। অনার্স বিভাগের ২য় ও ৪র্থ বর্ষের চূড়ান্ত মৌখিক পরীক্ষার (আগস্ট/১৬ইং) সময় ছাত্র/ছাত্রীদের নম্বর দেওয়ার নামে ৪০০ টাকা হারে রশিদ ছাড়া পরিপত্র বহির্ভূত আদায় করে বিভাগীয় শিক্ষক ও অধ্যক্ষ ভাগ বন্টন করে নেয়। ছাত্র/ছাত্রীদের ভর্তি বাতিলের নামে রেজিস্টেশনের মেয়াদ থাকা সত্বেও জন প্রতি ২০০০-২৫০০ টাকা জামানত হিসাবে অধ্যক্ষ নিজেই রশিদ ছাড়া গ্রহণ করে তা আত্মসাৎ করিতেছেন।

অনার্স সকল বর্ষের টিউটোরিয়াল ও ইনকোর্স ফি বাবদ ৩২০ টাকা করে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে হাতে হাতে আদায় করে বিভাগীয় শিক্ষক ও অধ্যক্ষ ভাগাভাগি করে নেয়। ডিগ্রি (পাস) ১ম বর্ষ নির্বাচনী পরীক্ষা/১৫ইং এর শিক্ষার্থীদের নিকট হতে আদায়কৃত মোট ৯৯১২০ টাকা (যার ভাউচার নং-৭৭) পরিচালনা ব্যয় বাদে অবশিষ্ট টাকা অধ্যক্ষ ও পরীক্ষা কমিটি আহবায়ক সহ কমিটি পরিপত্র লংঘন করে ভাগাভাগি করে নেয়। এছাড়াও সরজমিনে তদন্ত করিলে আরও অনেক দুর্নীতির চিত্র উঠে আসবে বলে লিখিত ওই অভিযোগ পত্রে জাননো হয়েছে।

উল্লেখ্য, অনুলিপিটি সদয় অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী, শিমন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা। সচিব, শিমন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা। জেলা প্রশাসক, নওগাঁ। উপজেলা নির্বাহী অফিসার, পত্নীতলা, নওগাঁ। সভাপতি/সম্পাদক, নজিপুর প্রেস ক্লাব, পত্নীতলা, নওগাঁ বরাবর ০৪/০২/২০১৭ইং তারিখে প্রেরণ করা হয়।

 

স/আ

সর্বশেষ - শিক্ষা