রাজশাহীর বাইরে থেকে রোগী সেজে অ্যাম্বুল্যান্সে আসছে মানুষ!

নিজস্ব প্রতিবেদক:

অ্যাম্বুলেন্স কতটা নিরাপদ। এমন প্রশ্ন উঠেছে করোনা ভাইরাসের সংক্রামন রোধে । যেখানে যানবাহনে বন্ধ যোগাযোগ ব্যবস্থা। সেখানে অ্যাম্বুলেন্স চলছে হর-হামেশায়। তবে রোগি পরিবহনে নয়, মোটা অঙ্গের টাকার বিনিময়ে করোনাভাইরাসের আক্রন্ত রোগী যাত্রী পরিবহনে।

সম্প্রতি এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে- ঢাকা বা নারায়গঞ্জ থেকে মানুষ রাজশাহীতে আসছেন অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে। অ্যাম্বুলেন্স নিরাপদ যানবহন হিসেবে বেছে নিয়েছেন যাত্রীরা। কারণ এখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চেক পোস্টে পরতে হয়না।

জরুরি প্রয়োজনের কাজে লাগে অ্যাম্বুলেন্স তাই তারা বিনা চেকে ছেড়ে দেয়। এই সুযোগ কাজে লাগাচ্ছেন এক শ্রেণির যাত্রী ও চালক। অতিরিক্ত ভাড়ার লোভে তারা যাত্রী পরিবহণ করছেন বলে জানা গেছে।

জানা গেছে- ৩০ এপ্রিল ঢাকা থেকে পালিয়ে রাজশাহীতে আসে করোনা পজেটিভ রোগী। তার বয়স ৩৫ বছর। তিনি রাজধানী ঢাকার ফার্মগেট এলাকায় ঔষুধ কোম্পানীর বিক্রয় প্রতিনিধি ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি জেলা গোদাগাড়ীর পালপুর ধরমপুর গ্রামে। তিনি ঢাকা থেকে অ্যাম্বুলেন্সে এসেছিলেন। তিনি খ্রীষ্টিয়ান মিশন হাসপাতাল চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা গেছে।

তার কিছুদিন আগে নগরীর পশ্চিম বুধপাড়া এলাকায় মেয়ে-জামায় অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে ঢাকা থেকে আসেন। তবে তাদের পুলিশ গিয়ে পাইনি। তবে স্থানীয়রা জানায়, ঢাকা থেকে আসার ঘটনা সত্য। আত্ময়ীরা তাদের অন্য জায়গায় পাঠাতে পারে।

গত এপ্রিল ২৯ বিকেলে রাজশাহীতে মাইক্রোবাসে করে ফ্লাইওভারের কাজের জন্য ১৩ জন আসে। এনিয়ে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তাদের সঙ্গে  ধান কাটার কাচি ছিলো বলে স্থানীয়রা জানায়।

এবিষয়ে ফ্লাইওভারের দায়িত্বে থাকা ডিএনকো’র ওয়ার্কার ম্যানেজার আহাদ আলী জানিয়েছেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। লোকজনকে ঢাকা অফিস রাজশাহীতে পাঠিয়েছে। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ- কাজ করানোর জন্য ঢাকা অফিসের অনুমতি করিয়ে তিনি শ্রমিক আনছিলেন।’

মতিহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাসুদ পরভেজ বলেন, বিষয়টি শুনেছি। ফ্লাইওভারের ম্যানেজার আমাকে ফোনে বলেছে, যারা কাজের জন্য রাজশাহীতে এসেছি তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

স/আ