দোকান ঘরে গ্রাম পুলিশের তালা, খুললো থানা পুলিশ!

নিজস্ব প্রতিবেদক, নওগাঁ:
নওগাঁর মান্দায় দুটি বয়লার মুরগীর দোকান ঘরে গ্রাম পুলিশদের সকালে দেয়া তালা বিকালেই খুলে দিল থানা পুলিশ। সোমবার সকাল ১০টায় মান্দা উপজেলার গনেশপুর ইউনিয়নের সতীহাট বাজারের এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, গ্রাম পুলিশ আমিনুল, বলরাম ও হাফিজুর সতীহাট বাজারের খোরশেদ আলম এবং আরমানের বয়লার মুরগীর দোকানে তালা ঝুলিয়ে দেয়। এ ঘটনায় বয়লার মুরগীর দোকানদার খোরশেদ আলম বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দায়েরের প্রেক্ষিতে ওই দিন বিকাল ৫টায় দোকান ঘর দুটির তালা খুলে দেয়  পুলিশ।

বয়লার মুরগীর দোকানদার খোরশেদ ও আরমান জানান, ‘বকুল চৌধূরীর নিকট থেকে দোকান ঘরদুটি ভাড়া নিয়ে আমরা প্রায় ১৫বছর যাবৎ ব্যাবসা করে আসছি। হঠাৎ করে গত মাসে ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ আমিনুল,বলরাম ও হাফিজুর সহ বেশ কয়েকজন আমাদের কাছে মাসিক ৫হাজার টাকা দাবী করে । টাকা না দেওয়ায় আজ সকাল ১০টায় আমাদেরকে জোর পুর্বক গলা ধাক্কা দিয়ে দোকান ঘর থেকে বের করে দিয়ে দোকানে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। চৌকিদার আমিনুল, বলরাম ও হাফিজুরের বিরুদ্ধে মান্দা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুল করিমের নেতৃত্বে এএসআই আলমগীর ও হাবিব বিকেল ৫টায় আমাদের দোকান খুলে দিয়েছেন। ততক্ষণে খাবার না পেয়ে এবং আলো-বাতাসের অভাবে বেশ কিছু মুরগী মারা গেছে’।
গ্রামপুলিশ বলরাম মুঠোফোনে বলেন, ‘আমরা চেয়ারম্যানের নির্দেশ মোতাবেক তাদের দুজনকে এর আগে একবার দোকানে গিয়ে জানিয়েছিলাম এটি সরকারী জায়গা এখানে কোন দোকান করা যাবেনা। তারা আমাদের নির্দেশ না মানার কারনে আমরা দোকান বন্ধ করে তালা দিয়েছি’।

গ্রামপুলিশ আমিনুল মুঠোফোনে বলেন, ‘তারা দুজনে মুরগী জবাই করে এখানে সেখানে লাড়ি ভূরি ফেলে এলাকার পরিবেশ দূষিত করায় পাশের দোকান দারেরা ক্ষিপ্ত। এজন্য তাদের আমরা দোকান সরানোর জন্য ১০দিনের সময় দিয়েছিলাম। আমাদের কথা না শোনার কারনে তাদের দোকান থেকে বের করে দিয়ে তালা দিয়েছি’।

মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাফ্ফর হোসেন বলেন, ‘পরিবেশ দুষনের কারনে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের নির্দেশে গ্রাম পুলিশ দোকান দুটিতে তালা দিয়েছিল। এব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে দোকান ঘর দুটির তালা খুলে দেয়া হয়েছে’।

স/মি