জে জে জাহিদ হাসানের `অবেলার কোকিল’

সিল্কসিটিনিউজ সাহিত্য ডেস্ক:

‘অবেলার কোকিল’

বড় অবেলায় অন্যমনস্ক হয়ে বসন্তের বাতাসে ফুলের সুভাস নিতে নিতে চলছিলাম বাগানের মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া সরু পথটা দিয়ে, হঠ্যৎ বড় চেনা কন্ঠ শুনে, থামকে দাঁড়ালো দু‘টা পা’কে কার কন্ঠ এতো শ্রুতিমধুর, কার কন্ঠ শুনে এ পাষান হৃদয় এতোটা দূর্বল হতে পারে, কার কন্ঠে ভেসে আসে শ্রুতিমধুর নামক সমুদ্রের ঢেউ,সে কী হতে পারে অচেনা কেউ? না নিশ্চয় না।ভাবতে ছিলাম আর খুজতে ছিলাম।হঠ্যৎ দেখি তাহার পা, রক্ত আলতায় রাঙ্গানো পৃথিবীর সকল রমনীর পাঁ কে হার মানায় এমন দুটো পাঁ। বাহ্ এতো সুন্দর।যার পাঁ এতো সুন্দর যার কন্ঠে পৃথিবীর সকল অন্যমনস্ক মন গুলো থমকে দাঁড়ায় না জানি সে কতটা সুন্দর কৌতুহল মন নিয়ে তার দিকে তাকাতেই প্রথমে চোখে পড়লে মায়া সন্চিত নয়ন। কী লাজুক চাহনী তার চোখের দিকে তাকিয়ে ভুলেই গেলাম পৃথিবীতে কুৎসিত নামক কোন কিছু আছে। এরপর চাতকরূপে তার সৌন্দর্য কে উপভোগ করতেই নিজেকে হারিয়ে ফেলাম,সত্যি কী পৃথিবীতে এমন সুন্দর কেউ আছে!যার কন্ঠ এতো শ্রুতিমধুর, যার আলতাবিহীন পাঁ এতো সজ্জিত, যার চোখে মায়ার মেলা বেঁধে থাকে,যার সৌন্দর্যের মহিমায় নিজেকেই ভুলে যাই।তাকে না দেখলে বুঝতেই পারতাম না।অল্প সময়ের মধ্যে হাজারো স্মৃতির পাতা ভরে গল্প লিখে আমায় ফেলে চলেও গেল।সে এসেছিল বড় অবেলায়, আমার থেকে ক্ষনিকটা দূরে শিমূল গাছের মগ ডালটায় বসেছিল। বসন্তে অবেলার কোকিল এতোটা সুন্দর হয় তাকে না দেখলে বুঝতাম।অবেলায় এসে ক্ষণিক সময়ে এমনটাকে তুমি যে নেশা করেছো, আমি প্রতিটা বসন্তের প্রতিটা মহূর্তে তোমার সৌন্দর্যের নেশায় নেশাগ্রস্থ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকবো তোমার প্রতিক্ষায়।

লেখক: মো. জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান: শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান সরকারি ডিগ্রী কলেজ।

স্থায়ী ঠিকানা: গ্রাম: সমেশপুর, থানা: বেলকুচি, সিরাজগঞ্জ।