রাবিতে প্রযুক্তি ও জনস্বাস্থ্য বিষয়ক আলোচনা সভায় উপাচার্য

‘‘জিডিপির ৫ শতাংশ স্বাস্থ্য খাতে কিন্তু তার যথাযথ ব্যবহার করতে পারি না’’

রাবি প্রতিনিধি:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) প্রযুক্তি ও জনস্বাস্থ্য বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগে ‘ব্রিংগিং টেকনোলজি অ্যান্ড পাবলিক হেলথ আন্ডার ওয়ান আমব্রেলা ইন বাংলাদেশ: ব্রেকিং ব্যারিয়ার্স’ শীর্ষক এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন রাবি উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার ও বিশেষ অতিথি ছিলেন সহ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. সুলতান-উল-ইসলাম।

প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক তানজিমা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ শিশু স্বাস্থ্য গবেষণা ফাউন্ডেশনের পরিচালক ড. সেজুতি সাহা। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ফাউন্ডেশনের জ্যেষ্ঠ গবেষক আরিফ মোহাম্মদ তন্ময় ও মাইক্রোবায়োলজিস্ট নাজিফা তাবাসসুম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, ‘মানুষ পরাজিত হওয়ার জন্য জন্ম নেয়নি। প্রতিনিয়ত বাধা অতিক্রম করে এগিয়ে যাওয়াই মানুষের ধর্ম। বিজ্ঞানের মূল কাজ হলো হৃদয়ের অন্ধকার দূর করা। এখানে মূখ্য ভূমিকা হলো বিজ্ঞানীদের। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাত নিয়ে অনেক প্রশ্ন আছে। আমরা আমাদের নিজেদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করি না। জিডিপির ৫ শতাংশ স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ দেওয়া হলেও, আমরা সেটারও যথাযথ ব্যবহার করতে পারি না। এটা আমাদের জাতীয় একটা সমস্যা বলা যায়।’

প্রধান বক্তা ড. সেজুতি সাহা বলেন, যেখানে বেশি প্রযুক্তি আছে, ‘সেখানে রোগী কম। আর যেখানে বেশি রোগী আছে, সেখানে প্রযুক্তি কম। বর্তমানে এই অবস্থার কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। কিন্ত এই যে গ্যাপ, এই গ্যাপটা আমাদের দূর করতে হবে। প্রযুক্তির সাথে স্বাস্থ্যের সম্পর্ক অনেক। প্রযুক্তি যত উন্নত হচ্ছে, গবেষণার ক্ষেত্র তত প্রসারিত হচ্ছে, নিত্য নতুন আবিষ্কার সম্ভব হচ্ছে। ফলে বিভিন্ন রোগ শনাক্ত করে কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব হচ্ছে।’

সভায় বক্তারা বাংলাদেশি শিশুদের চিকনগুনিয়া ও মেনিনজাইটিস রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার ক্ষেত্রে বিভিন্ন বাঁধা ও সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন। এ সময় বিভাগের অর্ধশতাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

জি/আর