রাশিয়ার সেনাবাহিনী দক্ষিণ ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর শহর খারসনের নিয়ন্ত্রণ দখল করেছে বলে শহরের মেয়র বলেছেন। খারসেই হচ্ছে এক সপ্তাহ আগে হামলা শুরুর পর রাশিয়ার দখলে যাওয়া প্রথম বড় শহর।
মেয়র ইগর কোলিখায়েভ বলেছেন, রাশিয়ার সেনারা নগর পরিষদ ভবনে প্রবেশ করেছে। এক ফেসবুক পোস্টে মেয়র কোলিখায়েভ বলেছেন, রুশ বাহিনী ইউক্রেনের দক্ষিণ কৃষ্ণ সাগর উপকূলের খারসন নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।
তিনি রুশ সেনাদের বেসামরিক লোকদের ওপর গুলি না করার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ওই শহরে কোনো ইউক্রেনীয় সেনা নেই।
খারসন ২ লাখ ৮০ হাজার জনসংখ্যার একটি বন্দরশহর। মেয়র কোলিখায়েভ শহরের বাসিন্দাদের ‘ইউক্রেনের পতাকা সমুন্নত’ রাখার জন্য রুশ বাহিনীর নির্ধারিত শর্ত অনুসরণ করার আহ্বান জানিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে:
•রাত ৮ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত কঠোর কারফিউ পালন করা।
•সর্বাধিক দুইজনের দলে বের হওয়া।
•শুধু খাদ্য, ওষুধ এবং অন্যান্য সরবরাহ বহনকারী গাড়িকে শহরে প্রবেশ করতে দেওয়া। এগুলো ন্যূনতম গতিতে চলবে।
এদিকে রাশিয়া বুধবার প্রথমবারের মতো ইউক্রেনে তার আক্রমণের সময় বড় সামরিক ক্ষয়ক্ষতির কথা স্বীকার করেছে। মস্কো বলেছে, তার ৪৯৮ সেনা নিহত এবং ১৫শ ৯৭ জন আহত হয়েছে। তবে ইউক্রেন বলছে, রাশিয়ার পক্ষে হতাহতের সংখ্যা কয়েক হাজার।
ইউক্রেন বলেছে, গত বৃহস্পতিবার রুশ আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে দুই হাজারেরও বেশি বেসামরিক লোক প্রাণ হারিয়েছে। জাতিসংঘের মতে, সংঘাতের কারণে ১০ লাখের বেশি মানুষ ইউক্রেন থেকে পালিয়ে গেছে।
সূত্রঃ কালের কণ্ঠ
