কেশরহাটে রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়ক দখলের হিড়িক

মোহনপুর প্রতিনিধি: রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কের কেশরহাটে চলছে মহাসড়কের দু’পাশে দখলের হিড়িক। অসাধু ব্যবসায়ীদের দখলবাণিজ্য ঠেকাতে নিরুপায় হয়ে পড়েছেন স্থানীয় পৌরপ্রশাসন। সড়ক ও জনপথ বিভাগের নজরদারি চেয়েছেন এলাকাবাসী।

সরেজমিনে দেখা গেছে, রাজশাহী-নওগাঁ আঞ্চলিক মহাড়কের যানজট নিরসনের জন্য সরকার সম্প্রতি রাস্তার দু’পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে। এছাড়াও চলছে রাস্তা প্রশস্তকরণের কাজ। চলমান ড্রেনেজের কাজ শেষ হতে না হতেই শুরু হয়েছে রাস্তার পাশ দখলের মহোৎসব। ইটবালি, বাশ, কাঠ ও চাঁদোয়া টাঙিয়ে দখলবাণিজ্যে মেতে উঠেছেন একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী। শিক্ষাকেন্দ্রিক কেশরহাটে ব্যবসায়ীদের মহাসড়ক দখলরোধে গত তিনদিন ধরে নিয়মিত মাইকিং করছে কেশরহাট পৌর প্রশাসন। এতে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে নবনির্মিত ড্রেনেজ জুড়ে পাকা ঘর নির্মাণ শুরু করেছেন অনেক ব্যবসায়ী। কিন্তু থানা পুলিশ, উপজেলা প্রশাসনসহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের কড়া নজরদারি না থাকার কারণে ব্যবসায়ীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।

শনিবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কেশরহাটের পরিচিত হাবিব বিহারি নামের পুরো হোটেলটি চলছে মহাসড়কের কার্পেটিং জুড়ে। আবার রাতে ঘর নির্মাণের জন্য পাশেই রাখা হয়েছে ইটবালি। যার ফলে মহাসড়কে সৃষ্টি হয়েছে যানজট।

দখলের বিষয়ে জানতে চাইলে হোটেল মালিক রিয়াজুল ইসলামের ছেলে বলেন, সবাই পায়, সবাই খাই, সরকারি লোকেরাও খায়, আপনি (সাংবাদিককে) ছবি তুলে করবেন কি? কোনো লাভ হবে না।

কেশরহাট পৌর মেয়র শহিদুজ্জামান শহিদকে বিষয়টি অবগত করা হলে তিনি বলেন, একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী তাদের নীতিবোধ হারিয়ে ফেলেছে। মহাসড়কের যানজট নিরসনে সম্প্রতি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের মাস না যেতেই রাস্তার উপরে দখলবাণিজ্য শুরু করেছে। তারা এখন যেন আরো বেশি বেপরওয়া হয়ে উঠেছে। এমনকি কেউ কেউ রাস্তার কার্পেটিং ঘেঁষে চালাঘরসহ ড্রেনেজ জুড়ে পাকা ঘর তৈরি শুরু করেছে। এজন্য গত তিনদিন ধরে নিয়মিত মাইকিং দিয়েছি কিন্তু এতে নেই কারো কোনো গুরুত্ব। ইউএনওকে অবহিত করা হয়েছে। ম্যাজিষ্ট্রেটের মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা ছাড়া আর কোনোই উপায় দেখছি না। তবে জনস্বার্থে এসব দোনিদের ব্যবস্থা নেয়া না হলে রাস্তার যানজটে জনদুর্ভোগ কমবে না বরং বাড়বে। এজন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের গুরুত্বারোপ জরুরি বলে মনে করেন তিনি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার সানওয়ার হোসেন বলেন, যেহেতেু সড়ক ও জনপথ বিভাগের জমি, সেহেতু বিষয়টি তাদের অবহিত করা হবে।

স/শা