বুধবার , ৩০ মার্চ ২০২২ | ১২ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

আড়ানী বড়াল নদীতে গঙ্গাপূজা করতে হাজারো মানুষ

Paris
মার্চ ৩০, ২০২২ ৭:১৭ অপরাহ্ণ

বাঘা প্রতিনিধি:

রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী ক্ষ্যাপা বাবার আশ্রমের পশ্চিমে বড়াল নদীতে গঙ্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়। বুধবার (৩০ মার্চ) এই পূজায় দেশের বিভিন্নস্থান থেকে রোগব্যাধি থেকে মুক্তির জন্য হাজারো হিন্দু ধর্মীয় মানুষ ডালা ভর্তি করে বড়াল নদীতে গোসল করে ঠাকুরের পাতানো পূজার আসনে বসেন।

পুঠিয়া থেকে আগত অঞ্জলী রানী সরকার নামের এক ৬৫ বছরের বৃদ্ধ বলেন, তার নাতি দীর্ঘদিন থেকে অসুস্থ্য। তার সুস্থ্যতা কামনায় এই গঙ্গাপূজার মানুষা করা হয়। নির্ধারিত তারিখ অনুয়ারী নাতীকে নিয়ে মানুষা দিতে এসেছি।

আড়ানী দক্ষিণপাড়া গ্রামের অঞ্জলী কুমার দাস তার নাতী জন্ম প্রতিবন্ধী। তার এই থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য তিনি মানুষা করে। এই মানুষার প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে এসেছেন। এই ধরনের মানুষা নিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে শতশত মানুষ এসেছেন।

আড়ানী ক্ষ্যাপা বাবার আশ্রম কমিটির উপদেষ্টা ও অবসরপ্রাপ্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রঘুপদ কুমার বলেন, ভারতের জলঙ্গী থানার হুকাহারা গ্রামের শ্রী শ্রী কৃষ্ণ প্রসন্ন খ্যাপা বাংলা ১৩১১ সালে আড়ানীতে আগমন ঘটে। তারপর এখানে একটি আশ্রম তৈরী করেন। এরপর থেকে প্রায় ১১৮ বছর যাবত এই বড়াল নদীতে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ রোগ বালাই সারার জন্য মানুষা নিয়ে গঙ্গাপূজা করতে আসে। অনেকের আশা পূরণ করে সুষ্টিকর্তা। আমার বাপ দাদার আমলের আগে থেকে এই নদীতে গঙ্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। তার ধারাবাহিকতায় প্রতি বছরের ১৬ চৈত্র এই পূজা অনুষ্ঠিত হয়।

পুঠিয়া থেকে আগত ডা. গোপালচন্দ্র সরকার বলেন, আমি পরিবার নিয়ে প্রতিবছরই এই পূজায় অংশ গ্রহণ করি। আমার মতো হাজারো মানুষ এখানে আসেন।

বড়াল নদীর ধারে পূজা আসরের ঠাকুর বিশ্বনাথ ঠাকুর বলেন, এই বড়াল নদীতে মানুষ জট নামানো, বাচ্চা না হওয়াসহ বিভিন্ন রোগের আরোগ্য লাভের আশায় আসে। সৃষ্টি কর্তার কৃপায় তা ভালো হয়।

এ বিষয়ে আড়ানী ক্ষ্যাপা বাবার আশ্রম স্বস্নানঘাট কমিটির সভাপতি ও জেলা পরিষদের সদস্য জয়জয়ন্তী সরকার মালতী বলেন, প্রতি বছর এই দিনে দিনব্যাপি গঙ্গা পূজা অনুষ্টিত হয়। এই পূজার স্থানীয়ভাবে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। এছাড়া দুরদুরান্ত থেকে আগতদের হিন্দু ধর্মীয়দের আশ্রম কমিটির পক্ষ থেকে এক বেলা খাবারের ব্যবস্থা করা হয়।

জি/আর

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর