সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
থানায় পুলিশের সামনেই যুবককে মারধর করছেন এক ব্যক্তি। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন এক নারীও।
এ সময় যুবকটি বারবার ক্ষমা চাইতে থাকলেও তার ওপর মারধর করতেই থাকেন তারা।
রোববার সামাজিক যোগাযোগমাধম্যে ৫ মিনিট ৫২ সেকেন্ডের এমন একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে এ নিয়ে হইচই পড়ে যায়।
থানায় এভাবে পুলিশের সামনে কারা আর কেনই বা যুবককে মারছেন সে প্রশ্ন ওঠে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে পড়া এ ঘটনাটি ভারতের আলিপুরদুয়ার জেলায়।
ভিডিওতে যে ব্যক্তি ও নারী যুবককে মারধর করতে দেখা গেছে তারা আলিপুরদুয়ারের জেলা প্রশাসক নিখিল নির্মল ও তার স্ত্রী নন্দিনী কৃষ্ণণ।
আর মারধরের শিকার যুবকের নাম বিনোদ ও তিনি ওই জেলারই বাসিন্দা বলে জানিয়েছে আনন্দবাজার পত্রিকা।
ভিডিওটি দেখুন –
https://www.facebook.com/TheWallNews/videos/658342771277832/?t=0
আলিপুরদুয়ারের জেলা প্রশাসকের অভিযোগ, ফেসবুকে তার স্ত্রীকে অশালীন মন্তব্য করেছিলেন বিনোদ।
এ বিষয়ে বিনোদের বিরুদ্ধে ফালাকাটা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বিনোদকে আটক করে স্থানীয় ফালাকাটা থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
খবর পেয়ে কিছুক্ষণের মধ্যে থানায় সস্ত্রীক হাজির হন নিখিল।আর থানায় ঢুকে পুলিশের সামনেই বিনোদকে মারধর শুরু করেন জেলা প্রশাসক নিখিল ও তার স্ত্রী।
এ সময় নিখিল বিনোদকে বলেন, তোমাকে বাড়িতে গিয়ে মেরে ফেলতে পারি আমি। আমার জেলায় আমার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলবে না।
পুলিশের কাছে বিনোদ জানিয়েছেন, নন্দিনী তার ফেসবুক বন্ধু। কিন্তু তিনি যে জেলা প্রশাসকের স্ত্রী সেটা জানতেন না।
রোববার রাতে ফেসবুকে নন্দিনীর সঙ্গে চ্যাট করছিলেন বলে জানায় বিনোদ। এরপর একটি গ্রুপে নন্দিনীর সঙ্গে একটি বিষয় নিয়ে বিতর্ক হয় তার।