সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক :
গেল ২৫ আগস্ট গায়েহলুদ ও ২৬ আগস্ট বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।চাষী আলমের গায়েহলুদ অনুষ্ঠানের ছবি প্রকাশ্যে আসার পর এ দম্পতির বয়স নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়। অনেকের দাবি, চাষী আলমের বয়স ৫৬ এবং তার স্ত্রীর বয়স ২১ বছর। বয়সের এ ব্যবধান নিয়ে কয়েক দিন ধরে নানারকম চর্চা চলছে। কথা উঠেছে চাষী আলমের ‘প্রাক্তনের’ প্রসঙ্গ।
অবশেষে এসব বিষয় নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন চাষী আলম। অভিনেতার ভাষ্য, বেশ কিছু নিউজ হয়েছে যেগুলোর শিরোনাম- ‘কাবিলাকে না পেয়ে হাবুকে বিয়ে করলেন তুলতুল’, ‘৫৬ বছর বয়সী হাবুকে বিয়ে করলেন তুলতুল’। এগুলো খুব ফানি নিউজ। আমাদের যখন কাবিন হয়েছে, তখন আমার জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট নেওয়া হয়েছিল; একইভাবে আমার স্ত্রীর পরিচয়পত্র ও পাসপোর্ট নেওয়া হয়েছিল। কাবিনের সময়ে গার্ডিয়ানরা দেখেন নাই আমার বয়স কত! নিউজ হচ্ছে, মানুষ মজা নিচ্ছে। মানুষ মজা নিক, অসুবিধা নেই। কারণে এসবের কোনো মূল্য নেই।
আপনার সঠিক বয়স কত? এ প্রশ্নের জবাবে চাষী আলম বলেন, অনেক কম। অনেক (৫৬ বছরের চেয়ে) নিচে।
কলেজ জীবনে এক সহপাঠির সঙ্গে সম্পর্কের খবরে চাষী আলম বলেন, আরেকটি নিউজ দেখলাম, যাতে বলা হয়েছে, এক কলেজ ফ্রেন্ডের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ছিল। অথচ কলেজ জীবনে ওই নামে আমার কোনো বান্ধবী ছিল না। আবার বলা হচ্ছে, প্রেম ভাঙার ৩৩ বছর পর বিয়ে করলেন হাবু। এবার আমি একটা হিসাব করি। আমি যখন কলেজে পড়ি, তখন আমার বয়স কম হলেও ১৮ বছর ছিল। ৩৩ আর ১৮ যোগ করলে কত হয়? অথচ ৫৬ কিংবা ৬৬ বছর লিখতেছে।
তিনি যোগ করেন, তারপর খবর উড়ছে, এটা নাকি আমাদের দ্বিতীয় বিয়ে। শুধু তাই না, বাচ্চাও নাকি আছে। আমার মা আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘এটা নাকি তোর তিন নাম্বার বিয়ে? সেটাই যদি হয় তবে তোর অন্য বউ-পোলাপান কোথায়?’ আমার ছোট বোনও মজা করে বলছে, ‘তোর অন্যান্য বউগুলো কোথায়?’ আমি বললাম, অন্যান্য বউ মানে? ও বলতেছে, ‘এরকম নিউজ আসছে, ওইখানে দেখলাম। ’ আসলে এরকম খবর আসবেই। এসব নিয়া আমার কোনো মাথা ব্যথা নাই। ’