দুর্গাপুর প্রতিনিধি
দুর্গাপুরে প্রতারক চক্রের এক মহিলা সদস্যকে আটক করেছে স্থানীয় গ্রাম বাসী। পরে আটককৃত ওই মহিলাকে পুলিশের মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ আদালতে নেওয়া হয়। অনেক নাটকিয়তার পর সন্ধ্যা ৬টার দিকে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
আটককৃত ওই মহিলার নাম রাজেকা বেগম (বিউটি) (৩২)। তিনি উপজেলা কিশোরপুর গ্রামের আব্দুল আজিজের মেয়ে ও মান্নানের স্ত্রী ।
জানাগেছে, গত সোমবার বিউটি খাতুন দুর্গাপুর উপজেলার জয়কৃষ্ণপুর রিষিপাড়ায় জান। পরে ওই গ্রামের সহয়সরল নারীদের কাছে নিজেকে সমাজ সেবা অধিদপ্তরের একজন কর্মচারী বলে পরিচয় দিয়ে ওই গ্রামের ভূমিহীন পরিবারের লোকজনকে আবাসন প্রকল্প করে দেওয়ার কথা বলে প্রায় ১৫ থেকে ২০জন ব্যক্তির নাম লিখে নেয়। এবং প্রত্যাককে ১হাজার টাকা সরকারী রেজিষ্ট্রেশন ফ্রি আর ১শ’টাকা ফরম বাবদ প্রদান করে হবে বলে জানায়। সেই মোতাবেক আজ মঙ্গলবার সকালে বিউটি খাতুন আবারো সেই গ্রামের গিয়ে উপস্থিত হয়। এসময় রমিমা, শ্যামলী, রিনা রানীর কাছ থেকে ফরম বাবদ ১শ টাকা করে ৭জনের কাছ থেকে ৭শ টাকা আদায় করে। পরে ওই এলাকার একজনের বিষয়টি সন্দেহ হলে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর জহুরুল ইসলাম মিরুন ও ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে বিউটি খাতুনকে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন। প্রশ্নের এক পর্যায়ে ভুলভাল উত্তর দিতে থাকে উত্তরের এক পর্যায়ে সে পালানোর চেষ্টা করতে থাকে। এক পর্যায়ে তাকে আটক করে দুর্গাপুর বাজারে সেলিম কাউন্সিলরের চেম্বারে কয়েজন কাউন্সিলর ও সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
জিজ্ঞাসার এক পর্যায়ে তিনি শিকার করেন গোদাগাড়ী উপজেলার মর্জিনা বেগম, রংপুরের রহিমা বেগম তাকে এই পথে নিয়ে এসেছে। তবে তাদের প্রধান মূল হোতা রাজশাহীর রাকেশ বলে জানান।
দুপুর ২টার দিকে বিউটি খাতুনকে দুর্গাপুর সমাজ সেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাছে নেওয়া হয়। পরে সন্ধ্যা ৬টা পযর্ন্ত নানা নাটকিয়তার পর প্রতারিতদের টাকা বিউটি বেগমের কাছ থেকে ফেরত নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
স/অ