শনিবার , ৩১ আগস্ট ২০১৯ | ২০শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

আসামের চূড়ান্ত নাগরিকপঞ্জি প্রকাশ আজ

Paris
আগস্ট ৩১, ২০১৯ ১০:২২ পূর্বাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামে ন্যাশনাল রেজিস্টার অব সিটিজেন্স (এনআরসি) বা নাগরিকপঞ্জির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ প্রকাশ হচ্ছে আজ। স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় এ তালিকা প্রকাশ করা হবে।

তালিকা থেকে ৪১ লাখ লোক বাদ পড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি অনলাইন। নাগরিকপঞ্জি প্রকাশকে ঘিরে আসামের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এর অংশ হিসেবে রাজ্যে আধাসামরিক বাহিনীর প্রায় এক লাখ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছেন, ‘সকাল ১০টার মধ্যে অনলাইনে তালিকা প্রকাশ করা হবে এবং যাদের ইন্টারনেট সংযোগ নেই তারা রাজ্য সরকার স্থাপিত নিকটস্থ সেবাকেন্দ্রে যেয়ে তাদের অবস্থা যাচাই করতে পারবেন।

কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যাদের নাম চূড়ান্ত নাগরিকপঞ্জিতে আসেনি সব ধরণের আইনগত ব্যবস্থা না নেওয়ার আগ পর্যন্ত তাদেরকে বিদেশি বলা যাবে না। তালিকা থেকে যারা বাদ পড়েছেন তারা ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালে আবেদন করতে পারবেন। ৬০ থেকে ১২০ দিনের মধ্যে তাদেরকে এ আবেদন করতে হবে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আপিল আবেদনের শুনানির জন্য রাজ্যে অন্তত এক হাজার ট্রাইবুনাল গঠন করা হবে। ইতোমধ্যে ১০০ ট্রাইবুনাল গঠন করা হয়েছে এবং সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ নাগাদ আরো দুই শতাধিক গঠন করা হবে। ট্রাইবুনালে হেরে গেলে যে কেউ হাই কোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারবেন।

বিবিসি জানিয়েছে, ১৯৫১ সালে আসামের নাগরিকপঞ্জির প্রথম তালিকাটি প্রকাশিত হয়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হলে লক্ষ লক্ষ মানুষ পালিয়ে ভারতে চলে যায়। এদের একাংশ আসামে আশ্রয় নেয়। অল আসাম স্টুডেন্টস ইউনিয়ন (আসু) ১৯৭৯ সালে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে। ১৯৮৩ সালে এই আন্দোলন সহিংস রূপ নেয়। ওই সময় দুই হাজার সন্দেহভাজন অবৈধ অভিবাসী নিহত হয়, যাদের বেশিরভাগই ছিলো মুসলমান।

২০০৯ সালে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে নাগরিকপঞ্জি হালনাগাদের জন্য একটি পিটিশন দায়ের করা হয়। আদালতের নির্দেশে প্রেক্ষিতে ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে প্রথম খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হয়। খসড়ার দ্বিতীয় তালিকাটি প্রকাশিত হয় ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই।

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক