কৃষিবিদরা খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তায় কাজ করছেন: কৃষিমন্ত্রী

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক:

১৯৭৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) চত্বরে এসে কৃষিবিদদের সরকারি চাকরিতে প্রথম শ্রেণির পদমর্যাদার ঘোষণা দেন।

২০১০ সালের ২৭ নভেম্বর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের (কেআইবি) এক সাধারণ সভায় ১৩ ফেব্রুয়ারিকে কৃষিবিদ দিবস হিসাবে ঘোষণা করা হয়। পরর্বতীতে ২০১১ সাল থেকে প্রতিবছর ওই দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।

বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সোমবার বাকৃবিতে বঙ্গবন্ধুর কৃষিবিদদের প্রথম শ্রেণির পদমর্যাদা দেওয়ার সুর্বণজয়ন্তী অনুষ্ঠান জাঁকজমকের সঙ্গে পালিত হয়েছে।

গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের আয়োজনে সোমবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু স্মৃতি চত্বরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও কেক কেটে দিবসের উদ্বোধন করেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন মিলনায়তনে কৃষিবিদ দিবসের আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিবিদ ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের ১৭ কোটি মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তায় আমরা সব কৃষিবিদ নিরলস কাজ করছি। বঙ্গবন্ধুর কৃষিবিদদের প্রথম শ্রেণির পদমর্যাদা দেওয়ার সুবর্ণজয়ন্তীতে সব কৃষিবিদের মধ্যে ব্যাপক উচ্ছ্বাস, উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কৃষিক্ষেত্রে যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে, সব কৃষিবিদ আজকের এই উৎসাহ-উদ্দীপনা ধারণ করে তা অব্যাহত রাখবে। চাল, ভুট্টা, শাকসবজি, আলু, মাছ, মাংস, দুধ, ডিমসহ কৃষি উৎপাদনের সাফল্যকে আরও বৃদ্ধি করা হবে।

আলোচনা সভায় বাকৃবি গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু হাদী নূর আলী খানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।

গেস্ট অব অনার ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ বাবু। বিশেষ অতিথি ছিলেন ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র ইকরামুল হক টিটু, ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহ্তেশামূল আলম এবং ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল।

প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাকৃবির ইমিরেটাস অধ্যাপক ড. এমএ সাত্তার মণ্ডল। সুবর্ণজয়ন্তীর দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে দুই হাজারের বেশি কৃষিবিদ অংশগ্রহণ করেন।

সূত্র: যুগান্তর