৬ হাজার চিঠি পড়ে আছে পোস্ট অফিসে

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

বহুবার চিঠি লেখার পরও প্রেমিকের সাড়া পাননি অথবা আবেদন করেও চাকরি পাননি, ভারতের উড়িশ্যায় যদি এমন ঘটনা ঘটে থাকে, তবে হয়তো এমনটিও হতে পারে- ওই চিঠিগুলো গন্তব্যেই পৌঁছেনি!

সৌজন্যে উড়িশ্যার এক সহকারী পোস্টমাস্টার। কারণ ওই চিঠিগুলো বিলি করার ইচ্ছা তার হয়নি।

একটি-দুটি নয়, প্রায় এক দশকেরও বেশি সময় ধরে অসংখ্য চিঠি বিলি না করে পোস্ট অফিসেই ফেলে রেখেছিলেন ওই পোস্টমাস্টার।

নয়-নয় করে সে চিঠির সংখ্যা পেরিয়েছে ছয় হাজারেরও ওপরে! ঘটনার কথা জানাজানি হতেই মঙ্গলবার অভিযুক্ত জগন্নাথ পুহানকে বরখাস্ত করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

উড়িশ্যার কেন্দুঝড় জেলার ওধঙ্গ গ্রামের ওই ঘটনার কথা আচমকাই প্রকাশ্যে আসে। ওই গ্রামের পোস্ট অফিসের পরিত্যক্ত গুদামঘরের ভেতরে খেলাধুলা করছিল স্কুলপড়ুয়ারা। হঠাৎই তাদের নজর যায় ধুলোমাখা বড় বড় বস্তার দিকে। তার ভেতর থেকে উঁকি মারছে অসংখ্য পুরনো চিঠিপত্র।

কাছে গিয়ে ভালো করে দেখার পর বস্তার মধ্যে থেকে বের হয় অজস্র এটিএম কার্ড-পাসবই। এর পরই গোটা ঘটনার কথা নিজেদের বাড়ির লোকজনকে জানায় ওই পড়ুয়ারা।

সাড়া পড়ে যায় গোটা গ্রামে। পোস্ট অফিসে গিয়ে দেখা যায়, ছয় হাজারের ওপরে চিঠি পড়ে রয়েছে গুদামঘরের বস্তাগুলোতে। তার মধ্যে মাত্র দেড় হাজার চিঠিই অক্ষত অবস্থায় রয়েছে। বাকিগুলোর কিছুটা উইপোকায় খেয়েছে অথবা ঝড়জলে নষ্ট হয়ে গেছে। ওই অক্ষত চিঠিগুলোর মধ্যে রয়েছে চাকরির আবেদনপত্র থেকে শুরু করে বিমার চিঠিও।

গোটা ঘটনার পেছনে কার হাত রয়েছে তার খোঁজখবর শুরু হয়। শেষমেশ জানা যায়, ওই পোস্ট অফিসের দায়িত্বে থাকা জগন্নাথই এর জন্য দায়ী।

একমাত্র রেজিস্টার্ড বা স্পিড পোস্ট ছাড়া গত ২০১৪ সাল থেকে আজ পর্যন্ত সাধারণ ডাকে আসা কোনো চিঠিই বিলি করেননি তিনি। এর কারণ জানিয়েছেন জগণ্ণাথ। তিনি বলেন, ঠিকমতো হাঁটাচলা করতে পারি না। তাই ওই চিঠিগুলো বিলি করার অবস্থায় ছিলাম না!