২০১৮-তেই খুলছে প্রতীক্ষিত পদ্মাসেতু

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

পদ্মাসেতু প্রকল্পের রেল লাইনের কাজ আগামী বছর জানুয়ারি থেকে শুরু হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ৩৬ মাস কাজ শেষে সড়ক ও রেল যোগাযোগ শুরু হবে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে।

এ সময়ের মধ্যে মাওয়া হতে সেতুর ওপর দিয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত ৪২ কিলোমিটার রেললিংক স্থাপনের কাজ শেষ হবে।

রোববার (২৪ জুলাই) দুপুরে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে পদ্মাসেতু এবং অ্যাপ্রোচ সড়কে রেললাইন সংযোজনের লক্ষ্যে অ্যালাইনমেন্ট চূড়ান্তকরণ বিষয়ক সভা শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে পদ্মাসেতুর ওপর রেলওয়ের কাজ শুরু হবে। শেষ হবে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে। প্রথম পর্যায়ে মাওয়া থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত রেলওয়ের কাজ শেষ করা হবে। ভাঙ্গায় একটা জংশন হবে।’

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই কাজ শেষ করে জনগণের চলাচলের জন্য পদ্মা সেতু উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। একই সময়ে রেলপথও চালু হবে।’

পদ্মাসেতু প্রকল্পের কাজ এ পর্যন্ত ৩৭ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে বলে দাবি করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী। বিদেশি কর্মকর্তাদের বিশেষ নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ঢাকা থেকে ফতুল্লা হয়ে সেতুর ওপর দিয়ে ভাঙ্গা জংশন পর্যন্ত ৮২ কিলোমিটার রেল লাইন স্থাপন করবে রেলপথ মন্ত্রণালয়। ভাঙ্গা থেকে বিদ্যমান রেল লাইন অনুযায়ী ফরিদপুর, যশোর সংযুক্ত হওয়ার পাশাপাশি পরবর্তী পর্যায়ে বরিশালকেও রেলপথে সংযুক্ত করা হবে।’

এ সময় রেলমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক বলেন, ‘ইতোমধ্যে জি-টু-জি ভিত্তিতে রেললাইন স্থাপনে চীন সরকারের মনোনীত রেলওয়ে গ্রুপ কোম্পানির সাথে প্রাথমিক সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে, শীঘ্রই বাণিজ্যিক চুক্তি সই হবে।’ এ প্রকল্পে প্রায় ৩৪ হাজার কোটি টাকা সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে বলে এ সময় মন্ত্রী জানান।

সভায় পদ্মাসেতুর সাথে সংযুক্ত রেল এবং প্রস্তাবিত চার লেন মহাসড়ক নির্মাণের ক্ষেত্রে উদ্ভূত সমস্যা সমাধানে একটি টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করা হয়েছে। বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক এবং সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর বা সওজ’র প্রধান প্রকৌশলীকে যুগ্মভাবে প্রধান করে গঠিত কমিটিতে রেললিংক প্রকল্প ও সেতু প্রকল্পের পরিচালকদ্বয়, দুই প্রকল্পের প্রধান পরামর্শকদ্বয়, সেনাবাহিনীর স্পেশাল ওয়ার্কস অর্গানাইজেশন বা এসডব্লিউও-পশ্চিম এর পরিচালক, ওয়াসা’র পদ্মা-যশোলদিয়া প্রকল্পের পরিচালক, এলজিইডি’র প্রতিনিধিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

সভায় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এম এ এন ছিদ্দিক, সেতু বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফিরোজ সালাহ উদ্দিন, সওজ’র প্রধান প্রকৌশলী ইবনে আলম হাসান, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আমজাদ হোসেন, পদ্মাসেতু প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম, রেললিংক প্রকল্প পরিচালক সাগর কৃষ্ণ চক্রবর্তীসহ এসডব্লিউও-পশ্চিমের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র: বাংলামেইল